ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

মার্চে উন্নয়নশীল দেশের স্বীকৃতি পাচ্ছে বাংলাদেশ

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬২৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০১৮
মার্চে উন্নয়নশীল দেশের স্বীকৃতি পাচ্ছে বাংলাদেশ সংসদে বক্তব্য দিচ্ছেন প্র্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (ফাইল ফটো)

জাতীয় সংসদ ভবন থেকে: আগামী মার্চে বাংলাদেশ আরো একধাপ এগিয়ে উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে স্বীকৃতি পাচ্ছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) রাতে জাতীয় সংসদে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আনিত ধন্যবাদ প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নিয়ে সংসদ নেতা প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।

এর মধ্য দিয়ে ২৩২জন সংসদ সদস্যের ৬৪ ঘণ্টার আলোচনার মাধ্যমে শেষ হলো রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর সাধারণ আলোচনা।

 

প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে শেষ স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী ধন্যবাদ প্রস্তাবটি কণ্ঠভোটে দিলে তা সর্বসম্মতক্রমে পাস হয়।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, দুর্নীতি করতে নয়, জনগণের ভাগ্য গড়তেই আমরা রাজনীতি করি, দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি। বাঙালি জাতি বীরের জাতি, আমরা যুদ্ধ করে দেশকে স্বাধীন করেছি। তাই আমরা নিম্ন বা মধ্যম নয়, দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে উন্নত-সমৃদ্ধ ও বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তুলবোই।

তিনি বলেন, টানা দুই মেয়াদে বর্তমান সরকার ক্ষমতায় থাকার সুফল পাচ্ছে দেশের জনগণ। আমরা রাজনীতি করে জনগণের কল্যাণে ও তাদের উন্নয়নের জন্য। জাতির জনকের আদর্শ অনুসরণ করেই রাজনীতি করি, একটাই লক্ষ্য দেশের জনগণের আর্থ-সামাজিক মুক্তি দেয়া।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর হত্যা-ক্যু-ষড়যন্ত্রের রাজনীতি দেশের জনগণের সব অধিকার কেড়ে নিয়েছিলো। ১৯ বার ক্যু হয়েছে, কীভাবে দেশের অগ্রযাত্রা হতে পারে? বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকলে স্বাধীনতার ৫ বছরের মধ্যেই বাংলাদেশ পৃথিবীর বুকে মর্যাদায় আসনে অধিষ্ঠিত হতে পারতো। ইচ্ছা থাকলে যে একটি দেশের উন্নয়ন করা যায়, সেটা আমরা প্রমাণ করেছি। আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশের ঘোষণা দিয়েছিলাম। সেটি করেছি। অগ্রগতির উন্নয়ন সূচকে বিশ্বের ৫টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ একটি। ক্রয় ক্ষমতায় দিক থেকে সারাবিশ্বে বাংলাদেশের স্থান ৩২তম।

তিনি আরও বলেন, সরকারের গৃহীত পরিকল্পনার কারণেই প্রবৃদ্ধি ৭ ভাগের উপরে উন্নীত করতে সক্ষম হয়েছি। আমাদের মাথা পিছু আয় বিএনপি আমলে ছিলো ৫৪৩ মার্কিন ডলার। আজকে ১ হাজার ৬১০ ডলারে উন্নীত হয়েছে। দারিদ্র্যের হার ২২ ভাগে নেমে এসেছে। এ হার ১৪ থেকে ১৫ এর মধ্যে নামানোর উদ্যোগ নিয়েছি। মানুষের জীবনমান উন্নত হয়েছে। মূল্যস্ফীতি ডাবল ডিজিট থেকে ৫ ভাগে নেমে এনেছি। অর্থনীতি যথেষ্ট শক্তিশালী। রফতানি আয় ৩৪ দশমিক ৮৫ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করতে সক্ষম হয়েছি। রিজার্ভ এখন ৩৩ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি।

তিনি বলেন, বিদ্যুতের জন্য দেশে হাহাকার ছিলো। বিএনপির আমলে দিনে ৫/৬ ঘণ্টা লোডশেডিং ছিলো নিত্যদিনের ব্যাপার। বর্তমান সরকার ১৬ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুত উৎপাদন করতে সক্ষম হয়েছে। গ্যাসের সমস্যা সমাধানে এলএমজি আমদানির উদ্যোগ নিয়েছি। মেট্রোরেলের কাজ চলছে।

যানজট প্রসঙ্গে তিনি বলেন, মানুষের ক্রয় ক্ষমতা বাড়ছে। যার একটি গাড়ি ব্যবহারের ক্ষমতা ছিলো না, তারা এখন দুইটা কিনছে। সবাই আইন মানলে যানজট অনেক কমে যেত। পদ্মা সেতু নির্মাণ কাজ এগিয়ে যাচ্ছে। বিশ্বব্যাংক দুর্নীতির অভিযোগ এনেছিলো। কিন্তু আমরা প্রমাণ করেছি ও অগ্নিপরীক্ষা দিয়েছি যে, দুর্নীতি করতে নয়, জনগণের ভাগ্য গড়তে আমরা রাজনীতি করি।

বাংলাদেশ সময়: ২২১৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০১৮
এসএম/ওএইচ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।