স্বল্প খরচ ও ক্লাসের বাইরে অতিরিক্ত টিউটর ছাড়াই আইন বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করছেন খুলনা ল’ কলেজের শিক্ষার্থীরা। রাতে ক্লাস হওয়ায় শিক্ষার্থীরা অন্য পেশায় নিয়োজিত থেকেও এখানে পড়ালেখা করে আইন বিষয়ে অধ্যয়নের সুযোগ পাচ্ছেন।
মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) রাত ৮টায় খুলনা সিটি ল’ কলেজে গিয়ে দেখা যায় শিক্ষার্থীরা ক্লাস করছেন। এ সময় কথা হয় অনেক শিক্ষার্থীর সঙ্গে।
এলএলবি ১ম বর্ষের শিক্ষার্থী আব্দুস সালাম বাংলানিউজকে বলেন, আইন পেশায় মানুষের সেবা করার সর্বোচ্চ সুযোগ পাওয়া যায়। তাই আইন বিষয়ে পড়াশোনা করছি।
শিক্ষার্থী কাজী রুমু বলেন, রাতে ক্লাস হওয়ার কারণে দিনের সব কাজ শেষ করে এখানে এসে ক্লাস করতে পারি। তাই আইনজীবী হওয়ার লক্ষ্যে এই কলেজ বেছে নিয়েছি।
এলএলবি শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী মো. অহিদুজ্জামান বলেন, আইন ব্যবসা একটি সম্মানজনক পেশা। বর্তমানে অন্য কাজের পাশাপাশি আইন নিয়ে পড়ালেখা করছি।
রাতে পাঠদান হলেও কলেজটিতে নিরাপদে শিক্ষাগ্রহণ করা যায় বলে জানান বেলোয়ারা পারভীন। শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের প্রতি অনেক আন্তরিক বলেও জানান তিনি।
এলএলবি শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী মনিরুজ্জামান বলেন, এলএলবি শেষ করে সাধারণত ইচ্ছা থাকে এলএলএম করার। কিন্তু জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে এলএলএম কোর্স না থাকার কারণে আমরা পিছিয়ে যাচ্ছি।
খুলনা সিটি ল’ কলেজের শিক্ষক মো. শফিউল আলম সুজন বলেন, এটি একটি পেশাগত পড়ালেখা। একাডেমিক পড়ালেখায় স্নাতক (ডিগ্রি) বা স্নাতক (সম্মান) উত্তীর্ণ যেকোনো শিক্ষার্থী এখানে ভর্তি হতে পারেন। বছরে একটি নির্দিষ্ট সময় শিক্ষার্থীদের ভর্তি নেওয়া হয়। এখানে দুই বছরের একটি কোর্স ব্যাচেলর অব ল’ (এলএলবি) সম্পন্ন করে শিক্ষার্থীরা বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের বিশেষ পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেন। ওই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা বাংলাদেশের আদালতে আইন ব্যবসায় যুক্ত হতে পারেন।
অধ্যক্ষ অ্যাডভোকেট এম এ আউয়াল বাংলানিউজকে বলেন, ১৯৬৫ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে এখানে পড়ে অনেক শিক্ষার্থী আইনজীবী হয়েছেন। নিজস্ব ভবনে ১৩ জন শিক্ষক খুবই আন্তরিকভাবে শিক্ষার্থীদের পাঠদান করেন। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত আমাদের এই কলেজে এলএলবি ১ম ও ২য় বর্ষে সাত থেকে ৮শ’ শিক্ষার্থী পড়ালেখা করছেন।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইন বিষয়ে স্নাতক (এলএলবি) উত্তীর্ণ হওয়ার পরে অনেক শিক্ষার্থী একই বিষয়ে স্নাতকোত্তর (এলএলএম) করতে চান। কিন্তু জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে স্নাতকোত্তর (এলএলএম) করার সুযোগ না থাকার কারণে অনেক শিক্ষার্থী বঞ্চিত হচ্ছেন বলে জানান অধ্যক্ষ এম এ আউয়াল।
বাংলাদেশ সময়: ২২৩০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০১৮
এমজেএফ