ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

নানা সংকটে ধুঁকছে খুমেক ক্যাম্পাস 

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৪১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০১৮
নানা সংকটে ধুঁকছে খুমেক ক্যাম্পাস  অপরিষ্কার বেসিন, মেঝেতে জমে আছে পানি-ছবি-বাংলানিউজ

খুলনা মেডিকেল কলেজ ক্যাম্পাস থেকে: দুপুর আড়াইটায় শেষ হয় শ্রেণি কার্যক্রম। সেইসঙ্গে যেন বন্ধ হয়ে যায় খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) ক্যাম্পাস। নানা সংকটের মধ্য দিয়ে জীবনযাপনে অভ্যস্ত হয়ে উঠেছেন খুলনাঞ্চলের সর্ববৃহৎ চিকিৎসা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলনা মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীরা।

মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) রাতে খুমেক বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিন, আচর্য প্রফুল্ল চন্দ্র রায় ও শহীদ ডা. মোর্তুজা ছাত্রাবাসে গিয়ে সরেজমিনে দেখা গেছে, মশার অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে খুমেকের ছাত্রাবাসের বাসিন্দারা। অপরিষ্কার-অপরিচ্ছন্ন পায়খানা ও গোসলখানাগুলো ব্যবহারের অনুপযোগী।

বাথরুমে পানি জমে রয়েছে। কোনটির আবার দরজা নেই। আবার দরজা থাকলেও নেই ছিটকিনি। বেসিনগুলোও নষ্ট হয়ে পড়ে আছে।  

আরও পড়ুন>>
**রাতের খুবির রূপে মুগ্ধ সবাই 

ছাত্রাবাসের চারপাশে ময়লা-আবর্জনার স্তুপ। এতে মশার অত্যাচার আরও বেড়েছে।  

ছাত্রাবাসের ডাইনিং বন্ধ রয়েছে বছর তিনেক। ডাইনিংয়ের চেয়ার-টেবিল কিছুই নেই। ক্যান্টিনে বেশি দামে অস্বাস্থ্যকর খাবার খেতে বাধ্য হচ্ছেন শিক্ষার্থীরা।

একই সমস্যা ছাত্রীনিবাসগুলোতেও।  

ছাত্রাবাসের চারপাশে ময়লা-ছবি-বাংলানিউজখুমেকের একজন ইন্টার্ন চিকিৎসক নাম প্রকাশ না করার শর্তে বাংলানিউজকে জানান, ছাত্রাবাসের ডাইনিং তিন বছর ধরে বন্ধ। কাল সকালে পরীক্ষা। একটু পড়ছি। কিন্তু এখন খেতে যেতে হবে ক্যান্টিনে। তাও খাবার পাওয়া যাবে কিনা সন্দেহ। দাম তিনগুণ। কিন্তু ডাইনিং কি কারণে বন্ধ থাকে তা জানি না।  
 
ছাত্রাবাস এলাকার সড়ক বাতিগুলো নষ্ট হয়ে ভূতুড়ে পরিবেশ তৈরি হয়েছে। ছাত্রাবাসের ভেতরে এখানে-সেখানে বিদ্যুতের তার খুলে পড়ে রয়েছে।  

প্রথম বর্ষের এক শিক্ষার্থী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বাংলানিউজকে জানান, ছাত্রাবাসের চারপাশে ময়লা-আবর্জনার স্তুপ। মশার অত্যাচারে কি দিনে-কি রাতে রুমে থাকা দায় হয়ে পড়েছে। এ নিয়ে কর্তৃপক্ষের কোনো মাথাব্যথা নেই।

মশার কামড় থেকে বাঁচতে মশারির ভেতরে পড়ছেন এক শিক্ষার্থী-ছবি-বাংলানিউজবীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিন ছাত্রাবাসের এক আবাসিক শিক্ষার্থী পায়খানা-গোসলখানা ঘুরিয়ে দেখিয়ে বলেন, এই হচ্ছে মেডিকেল কলেজের ছাত্রাবাসের অবস্থা। পায়খানায় ঢুকি বাধ্য হয়ে। বেসিনে দাঁড়িয়ে ব্রাশ করতে ঘৃণা লাগে।  

শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন, মেডিকেলের শিক্ষার্থীরা যে একটু বসে আড্ডা দেবে সে সুযোগও নেই। কোথাও একটু বসার জায়গাও নেই। অন্তত সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য হলেও তো ছাত্রাবাসগুলো ঘিরে ফুলের বাগান ও বসার জায়গা করা যায়। তাতে আর ময়লা-আবর্জনার স্তুপ তো থাকবে না।

এ ব্যাপারে খুলনা মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ডা. আব্দুল আহাদ বাংলানিউজকে বলেন, আমাদের আন্তরিকতার ঘাটতি নেই। কিন্তু সব কাজ করতে হয় গণপূর্ত বিভাগের মাধ্যমে। প্রতিনিয়ত এসব সমস্যার কথা উল্লেখ করে চিঠি দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু কাজ হচ্ছে খুব কম। ছাত্রাবাস এলাকার একটি সড়ক, ড্রেনেজ ব্যবস্থা ও প্রাচীর সংস্কারের কিছু কাজ দ্রুত শুরু হবে। এছাড়া অন্য সমস্যাগুলোও পর্যায়ক্রমে সমাধান করা হবে বলে আশ্বাস দেন তিনি।  

বাংলাদেশ সময়: ২৩৪১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০১৮
আরআর

...

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।