ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

চারতলার ছাত্রাবাসে শিক্ষার্থী ২০ জন, বহিরাগত ৬

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৩৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০১৮
চারতলার ছাত্রাবাসে শিক্ষার্থী ২০ জন, বহিরাগত ৬ খুলনার সরকারি মজিদ মেমোরিয়াল সিটি কলেজ ছাত্রাবাস-ছবি-বাংলানিউজ

খুলনার সরকারি মজিদ মেমোরিয়াল সিটি কলেজ ছাত্রাবাস থেকে: মহানগরীর খানজাহান আলী সড়কে ১৯৬৫ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় এম এম সিটি কলেজ। নড়াইল, যশোর, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট ও গোপালগঞ্জ জেলাসহ দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে শিক্ষার্থীরা পড়তে আসেন এখানে। বর্তমানে এখানে দুই হাজার দুইশ’ শিক্ষার্থী রয়েছেন। তবে কলেজের চারতলার ছাত্রাবাসে শিক্ষার্থী থাকেন মাত্র ২০ জন। আর বহিরাগত রয়েছেন ছয়জন। 

মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) দিনগত রাতে খুলনা মহানগরীর ২৭৬, শের-এ- বাংলা রোডস্থ সরকারি মজিদ মেমোরিয়াল সিটি কলেজের ছাত্রাবাসে দেখা গেছে সুনসান নিরবতা। মনে হয় যেন ভূতের বাড়ি।

মহাসড়ক ঘেঁষা মূল ফটক থেকে ভেতরে ঢুকে বিশাল বড় এলাকায় কোথাও কাউকে খুঁজে পাওয়া গেলো না। কিছুটা হাঁটলেই ছাত্রাবাস ভবনের গেট। অনেকক্ষণ ডাকার পর আসলেন স্নাতক শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী শেখ ইশতিহাক আহমেদ জয়। গেটম্যান থাকলেও পাওয়া যায়নি তাকে। বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তরের পরে তিনি ঢুকতে দিলেন ভবনে।  

ভবনে ঢুকে দেখা গেলো, নিচতলায় কোনো শিক্ষার্থী নেই। ২য়, ৩য় ও ৪র্থ তলা সব মিলিয়ে শিক্ষার্থী হবে ১০ থেকে ১৫ জন। ২য় তলার একপাশে থাকেন আরবি বিভাগের প্রভাষক মো. শওকত ওসমান এবং ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং বিভাগের প্রভাষক মো. মানিক।

আরও পড়ুন>>
**খেলা, গান ও পেপারে কাটে শিক্ষার্থীদের রাতের প্রথমভাগ
**যে কলেজে ক্লাস হয় রাতে...

কলেজটির একমাত্র ছাত্রাবাসের এ অবস্থার জন্য বিভিন্ন কারণ রয়েছে বলে জানান ছাত্রাবাসে থাকা শিক্ষার্থীরা। মাদকের আখড়া, শিক্ষার্থীদের রাজনৈতিক মিছিলে যেতে বাধ্য করা ও কলেজ থেকে ছাত্রাবাস অনেক দূরে হওয়ায় কেউ থাকতে চায় না বলে তারা জানান।

শেখ ইশতিহাক আহমেদ জয় বাংলানিউজকে বলেন, ছাত্রাবাসের বাউন্ডারি দেয়ালে কোনো আলো নেই। ছাত্রাবাসের সামনের সড়কে ময়লা ফেলা হয়। এতে যাতায়াতে সমস্যা হয়।

ছাত্রাবাসের প্রধান ফটকের সামনের চায়ের দোকানি বাংলানিউজকে জানান, বহিরাগতরা গভীর রাত পর্যন্ত ছাত্রাবাসের মাঠে ও পরিত্যক্ত ভবনে মাদক সেবনের জন্য নিয়মিত আসা-যাওয়া করে। যে কারণে অভিভাবকরা সন্তানকে এখানে রাখেন না।

বাংলাদেশ সময়: ০৩৩৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০১৮
আরআর
...

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।