বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ওই বাগানের একটি পরিত্যাক্ত পুকুর থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। নিহত হানিফ সিটি করপোরেশনের ১ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা হাসেম ঘরামির ছেলে।
স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর সৈয়দ সাইদুল হাসান মামুন বাংলানিউজকে জানান, হানিফ ঘরামি সিটি করপোরেশনের একজন পরিচ্ছন্নতা কর্মী ছিলো। সে ১ নম্বর ওয়ার্ডের হাওলাদার বাড়িতে স্ত্রী ও এক ছেলে নিয়ে ভাড়া থাকতো। স্বজনরা জানিয়েছে মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) রাত ১১টার পর থেকে সে নিঁখোজ ছিলো।
হানিফের হাতে জখমের চিহ্ন রয়েছে। মৃত্যু নিয়ে সন্দেহ থাকায় তার মরদেহ ময়নাতদন্ত করা হবে বলেও জানান তিনি।
বরিশাল মেট্রোপলিটন কাউনিয়া থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি, তদন্ত) মো. আসাদুজ্জামান বাংলানিউজকে বলেন, সকালে স্থানীয়রা পুকুরটিতে মরদেহ ভাসতে দেখে পুলিশকে খবর দেয়। পরে পুলিশ গিয়ে মরদেহটি উদ্ধার করলে পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়।
সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরির পর ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
এটি হত্যা না বিদ্যুৎস্পৃষ্টে জনিত দুর্ঘটনায় মৃত্যু, ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনেই বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যাবে বলেও জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।
বাংলাদেশ সময়: ১১৪৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০১৮
এমএস/জিপি