ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

ব্যর্থ মন্ত্রীদের অপসারণ চাইলেন বাবলু

বাংলানিউজ টিম | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪০২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০১৮
ব্যর্থ মন্ত্রীদের অপসারণ চাইলেন বাবলু

জাতীয় সংসদ ভবন থেকে: ব্যাংক ও আর্থিক খাতের বিশৃঙ্খলার দায়ে অর্থমন্ত্রীর অপসারণ চাইলেন জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য জিয়া উদ্দিন আহমেদ বাবলু। শুধু অর্থমন্ত্রীই নয়, ব্যর্থ অন্যান্য মন্ত্রীদেরও অপসারণ চান তিনি।

বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) রাতে জাতীয় সংসদের ১৯তম অধিবেশেনের সমাপনী দিনে পয়েন্ট অব অর্ডারে দাঁড়িয়ে এ দাবি জানান বাবলু।

জিয়া উদ্দিন বাবলু বলেন, অর্থমন্ত্রী সংসদে বলেছেন ব্যাংকের সাড়ে ৯ হাজার কোটি টাকা মূলধন ঘাটতি।

এই মূলধন কোথায় গেছে? মানুষ কি অথরিটি দিয়েছে লুটপাটের টাকার ঘাটতি পূরণ করার? মানুষের ট্যাক্সের টাকা দিয়ে, শ্রমিক-কৃষকের ট্যাক্সের টাকা দিয়ে লুটপাটের টাকার ঘাটতি পূরণ করার কি ম্যানডেট পেয়েছেন? এই অধিকার কি জনগণ আপনাকে (অর্থমন্ত্রী) দিয়েছে? কেন লুটপাটকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে না?

অর্থমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে বাবলু আরো বলেন, অর্থমন্ত্রী যদি ব্যর্থ হন তাহলে কেন তিনি চলে যান না। জনগণের টাকা দিয়ে লুটপাটের টাকার ঘাটতি পূরণ করার ক্ষমতা আমাদের নেই। লুটপাটকারীরা লুটপাট করবে আর জনগণের টাকায় ভরণ-পোষণ করবেন এটা হয় না। যারা দায়ী তাদের দ্রুত আইনের আওতায় আনেন। ব্যর্থতার দায় তিনি (অর্থমন্ত্রী) বার বার তুলে ধরবেন আর জনগণের ট্যাক্সের টাকা দিয়ে ঘাটতি পূরণ করবেন এটা হতে পারে না।

প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে বাবলু বলেন, আপনি বলেছেন ব্যর্থতার কথা শুনতে চান। তাহলে কেউ যদি ব্যর্থ হয় আপনি কেন তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছেন না। ব্যর্থতার দায় নিয়ে কেন তিনি (অর্থমন্ত্রী) এখানে থাকবেন? 

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী আপনার বিরাট একটি ইমেজ আছে। আপনি দেশকে উন্নত সমৃদ্ধশালী দেশের দিকে নিয়ে যাচ্ছেন। আপনি ক্ষুধামুক্ত দারিদ্র্যমুক্ত দেশ প্রতিষ্ঠার জন্য নিরলসভাবে চেষ্টা করছেন। কিন্তু টিম যদি শক্তিশালী না হয় তাহলে সেটাকে নিয়ে লক্ষ্যস্থলে পৌঁছাতে পারবেন না। তাই আমি মনে করি আপনার সরকারের স্বার্থে যেসব ব্যর্থ মন্ত্রী আছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেন। তাদের ডিসমিস করেন। স্যাক করেন।

এর আগে কাজী ফিরোজ রশীদ বলেন, ব্যাংকগুলো পারিবারিক প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। এক পরিবারের ৪ জন করে এমডি করার বিধান করা হয়েছে। ব্যাংক আর এখন জনগণের ব্যাংক নাই। জনগণ ব্যাংকে টাকা রাখতে আস্থা পাচ্ছে না। মানুষ দিন দিন আস্থা হারিয়ে ফেলছে। এই অবস্থা থেকে যদি বেরিয়ে আসতে না পারি তাহলে পরিস্থিতি খারাপ হবে। মানুষ ব্যাংকের ওপর আস্থা রাখতে না পারলে ব্যাংকে টাকা আসবে না। এখান থেকে আমাদের বেরিয়ে আসতে হবে। আইন শুধু করলেই হবে না, এর প্রয়োগ ও ব্যবস্থা নিতে হবে।

বাংলাদেশ সময়: ২০০০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০১৮
এসকে/এসএম/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।