বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) রাতে দশম জাতীয় সংসদের ১৯তম অধিবেশনের সমাপনী বক্তৃতায় প্রধানমন্ত্রী এভাবেই সাবেক উপদেষ্ঠা ব্যারিস্টার মইনুল হোসনের সমালোচনা করেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, দেশে আরেকজন জ্ঞানী-গুণী ব্যক্তি আছেন তিনি এখন বড় বড় কথা বলেন।
ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনের নাম উল্লেখ না করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর টাকায় ইত্তেফাক গঠন হয়েছিল। এটা আওয়ামী লীগেরও সম্পদ। অথচ সেই ইত্তেফাকের টাকায় বঙ্গবন্ধুর খুনিদের নিয়ে ওই ব্যক্তি ইত্তেফাকের টাকায় বিদেশে গিয়ে ব্যারিস্টারি পড়ে আসেন। পরে তিনি একটি রাজনৈতিক দল গঠন করেন। আজ সেই ব্যক্তির মুখে গণতন্ত্রের ছবক শুনতে হয়, গণতন্ত্রের সংজ্ঞা শুনতে হয়- এটাই দুর্ভাগ্যজনক।
প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, এই ব্যক্তি আমার কাছে অনেকবার এসেছিলেন উপদেষ্টা হতে, আমি করিনি। এ কারণে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় আমার বিরুদ্ধে মামলা দেওয়া হলো। মামলা মোকাবেলার জন্য জোর করে বিদেশ থেকে ফিরে আসি। তখন আমাকে ওই ব্যক্তি ফোন করে বলেছিলেন, আমার দেশে ফেরার দরকার নেই। আমি বলেছিলাম, কেন আসবো না? আমার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে, আমি মামলা মোকাবেলা করবো।
শেখ হাসিনা বলেন, তখন আমি বিরোধী দলের নেতা ছিলাম, কিন্তু আমাকেই প্রথমে গ্রেফতার করে একের পর এক মিথ্যা মামলা দেওয়া হলো। রাজনীতি থেকে বিদায় করতে অনেক ষড়যন্ত্র করা হয়েছিল।
বাংলাদেশ সময়: ২০১২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০১৮
এসকে/এসএম/এমজেএফ