স্প্লিট সিস্টেম এসির আনাচে-কানাচে লুকিয়ে থাকা ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া ধুয়ে বের করার অনন্য এক পদ্ধতি উদ্ভাবন করেছে হাইড্রোক্লিন গ্লোবাল। যার সুবাদে বায়ুবাহিত দূষিত পদার্থের পরিমাণ যেমন কমে, তেমনি লক্ষণীয়ভাবে হ্রাস পায় পরিচালন খরচও।
২০০৯ সালে অস্ট্রেলিয়ায় যাত্রা শুরু করে বর্তমানে ২২টি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে হাইড্রোক্লিন সেবা। গ্রাহকের অর্থ ও সময় দু’টিরই সদ্ব্যবহার নিশ্চিত করে ডাক্টহীন শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাগুলোকে (ductless air conditioning systems) পরিষ্কার ও জীবাণুমুক্ত করার ক্ষেত্রে হাইড্রোক্লিন নিজেকে আন্তর্জাতিকভাবে এক মানদণ্ড হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেছে।
হাইড্রোক্লিন বাংলাদেশ লিমিটেড-এর ভাষ্যে, তিন কারণে এয়ার কন্ডিশনার-এর নিয়মিত পরিচর্যা আবশ্যক।
প্রথমত, এয়ার কন্ডিশনারগুলো ধীরে ধীরে নোংরা হয়, ভেতরে ময়লা জমাট বাঁধে। ফলে কক্ষের ভেতরেও নোংরা হাওয়া ছড়াতে শুরু করে, বাড়ে স্বাস্থ্যের ঝুঁকি। কারণ, দূষিত বাতাস ভেতরে ঢোকা মানেই তা আরো কলুষিত হয়ে বেরিয়ে আসা। যার ফলে হতে পারে অ্যাজমাসহ ফুসফুসের বিভিন্ন রোগ।
দ্বিতীয়ত, ভেতরে ময়লা জমে যাওয়া একটা এয়ার কন্ডিশনার স্বাভাবিক (পরিষ্কার) অবস্থার চেয়ে শতকরা ৩০ ভাগ বেশি বিদ্যুৎ খরচ করে- যা আর্থিক মূল্যে নেহাত কম নয়!
তৃতীয়ত, বেশিরভাগ মানুষই হয়তো ভেবে দেখেন না, একটি পরিচ্ছন্ন এয়ার কন্ডিশনার টেকেও বেশি দিন। অপরিচ্ছন্ন হয়ে গেলে, এয়ার কন্ডিশনারকে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ করতে কাজ করতে হয় বেশি, তাই ক্ষয়েও যায় তাড়াতাড়ি।
হাইড্রোক্লিন-এর এসি পরিচর্যার পদ্ধতি এতো নিখুঁত যে, অস্ট্রেলিয়ার জাতীয় অ্যাজমা কাউন্সিলের ‘সচেতন নাগরিকের পছন্দ’ বা ‘সেনসিটিভ চয়েস’ কর্মসূচি একে আলাদাভাবে স্বীকৃতি দিয়েছে।
নির্মল বাতাসের সরবরাহ, বিদ্যুৎ ব্যবহারে নিয়ন্ত্রণ এবং এসি-এর দীর্ঘায়ু নিশ্চিত করতে কেন নিয়মিত পরিচর্যা করা চাই- তা বোঝাতে বিশ্বস্বীকৃত এ প্রতিষ্ঠানটি নিরলস প্রচার ও কর্মপ্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে।
হাইড্রোক্লিন বাংলাদেশ লিমিটেড-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাফিউর রহমান খান ইউসুফজাই বাংলানিউজকে বলেন, ‘ব্যাপারটা অনেকটা এ রকম- যেন নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান গাড়ি বানিয়ে বাজারজাত করছে, কিন্তু ক্রেতাকে তাদের বলে দিতে হচ্ছে না যে, গাড়িটি তাকে নিয়মিত সার্ভিস বা পরিচর্যা করতে হবে। ’
‘আপনি যদি আপনার এয়ার কন্ডিশনারটিকে সম্পদ হিসেবে রক্ষণাবেক্ষণ করতে চান, নিজের স্বার্থেই আপনার উচিত হবে নিয়ম করে সেটিকে পরিচর্যা এবং জীবাণুমুক্ত করার বিষয়টি নিশ্চিত করা। ’
হাইড্রোক্লিন গ্লোবাল এয়ার কন্ডিশনার পরিচর্যা সেবার জন্য পুরস্কারপ্রাপ্ত একটি আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান, যা নিশ্চয়তা দেয় অন্তত ৩টি বিষয়ের। তা হলো- বাতাস থেকে নির্দিষ্ট কিছু দূষণকারী পদার্থ দূর করার; লক্ষণীয়ভাবে বাতাসের মান উন্নয়ন করার; এবং বিদ্যুতের খরচ কমিয়ে আনার।
প্রথমে অস্ট্রেলিয়ায় সফলভাবে ব্যবসায়ের শাখা বিস্তারের মাধ্যমে নিজেদের ব্যবসায়িক পদ্ধতি এবং প্রযুক্তির অপ্রতিদ্বন্দ্বী মান নিশ্চিত করে, তারপর হাইড্রোক্লিন গ্লোবাল বিশ্বজুড়ে তাদের অঞ্চলভিত্তিক প্রতিনিধি নির্বাচন ও নিয়োগ শুরু করেছে।
বাংলাদেশে প্রতিষ্ঠানটির যাত্রা উপলক্ষে ০১ মার্চ সন্ধ্যায় রাজধানীর একটি পাঁচতারকা হোটেলে বর্ণাঢ্য উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন দেশের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও গণ্যমান্য ব্যক্তিরা।
অতিথিদের তালিকায় ছিলেন ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস এমপি, সড়ক ও সেতু বিভাগ সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি একাব্বর হোসেন এমপি, হাইড্রোক্লিন গ্লোবাল-এর সিইও জন সেন্ডারস, বেসিক ব্যাংক লিমিটেডের চেয়ারম্যান আলাউদ্দিন আল মজিদ, সাহিত্যিক ও দৈনিক কালের কণ্ঠের সম্পাদক ইমদাদুল হক মিলন, বিশিষ্ট শিল্পী সৈয়দ আব্দুল হাদী, তপন চৌধুরী ও হাইড্রোক্লিন বাংলাদেশের পরিচালকরা।
করপোরেট সেবার পাশাপাশি ব্যক্তি পর্যায়েও এই সেবা পাওয়া যাবে। একটি ফোন (০১৯০২৪৬৪৬৪৬) কলেই সার্ভিস পৌঁছে যাবে গ্রাহকের দরজায়। অথবা www.hydrokleen.com.bd এই ওয়েবসাইটে।
বাংলাদেশ সময়: ১১৩৭ ঘণ্টা, মার্চ ০১, ২০১৮
এসআই/টিএ