বৃহস্পতিবার (১লা মার্চ) রাতে মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হলেও পরিবার তা গোপন রাখে। শুক্রবার (২রা মার্চ) জুমার নামাজের পর উপজেলার কর্ণিগ্রামে জানাজার নামাজের আয়োজন করতে গেলে এলাকাবাসী তাতে বাধা দেয়।
জানা যায়, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক উপজেলা চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা আছকির খান এই যুদ্ধপরাধীর জানাজার খবর পেয়ে তাতে বাধা দেন। পরে তার গ্রামের বাড়িতে নিয়ে জানাজা শেষে রাজনগর থানা পুলিশের তত্ত্বাবধানে মরদেহ পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।
এ ব্যাপারে রাজনগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা মো. আছকির খান বাংলানিউজকে বলেন, সে আদালতের সাজাপ্রাপ্ত যুদ্ধাপরাধী। তার জানাজায় থাকা আমার ও আমার এলাকাবাসীর জন্য মানহানীকর। তাই আমি জানাজায় বাধা দিয়েছি।
সামছুল হোসেন তরফদার ওরফে আশরাফ রাজনগর সদর ইউনিয়নের বাগাজুরা গ্রামের বাসিন্দা। চলতি বছরের ১০ জানুয়ারি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে ১৯৭১ সালের যুদ্ধপরাধের দায়ে তার আমৃত্যু কারাদণ্ড হয়।
রাজনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শ্যামল বণিক বাংলানিউজকে জানান, সাজাপ্রাপ্ত যুদ্ধাপরাধী সামছুল হোসেন তরফদার দীর্ঘদিন থেকে পলাতক ছিলেন। শুক্রবার তার মৃত্যুর খবর পেয়ে পুলিশের তত্ত্বাবধানে মরদেহ দাফন করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের ১০ জানুয়ারি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান মো. শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বাধীন তিন বিচারপতির ট্রাইব্যুনাল রাজনগর উপজেলার যুদ্ধাপরাধী সামছুল হোসেন তরফদার ওরফে আশরাফের বিরুদ্ধে ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময় হত্যা, গণহত্যা, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটে জড়িত থাকার ৫টি অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাকে আমৃত্যু কারাদণ্ড দেন। দণ্ডপ্রাপ্ত অবস্থায় সামছুল হোসেন তরফদার পলাতক ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৮২৬ ঘণ্টা, মার্চ ০২, ২০১৮
আরএ