শুক্রবার (২ মার্চ) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে লাল সবুজের পতাকা দিয়ে ঢাকা ভাস্কর্যটি দু’পাশ থেকে দুই ভাগে মুক্তিযোদ্ধারা একযোগে রশি টেনে এর উন্মোচন করেন।
এর আগে শান্তির প্রতীক ৭১টি পায়রা উড়িয়ে এর শুভ সূচনা করা হয়।
ভাস্কর রুপম রায়, নকশা পরিকল্পনা ও নির্দেশনা ইমরান হোসেন পিপলু, নামকরণ ও গবেষণা আলমগীর টুলু, সার্বিক তত্ত্বাবধানে জিয়াউল হক শিমুল এবং নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ঘাটশীলা।
এ উপলক্ষে দুপুরে লিচুতলা এলাকা থেকে একটি শোভাযাত্রা বের হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে পুনরায় পতাকা একাত্তর ভাস্কর্য এলাকায় ফিরে আসে। পরে পবিত্র ধর্মগ্রন্থ গীতা ও কোরআন পাঠ করা হয়। বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মাধ্যমে পতাকা উত্তোলন করা হয়।
সন্ধ্যায় জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।
বর্নাঢ্য শোভাযাত্রায় জেলার মুক্তিযোদ্ধা, আওয়ামী লীগের বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মী, ছাত্রলীগ, সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন শ্রেণীপেশার মানুষ এতে অংশগ্রহণ করেন। শহর জুড়ে ব্যানার ও বিভিন্ন পয়েন্টে মাইক ব্যবহার করা হয় উদ্বোধন অনুষ্ঠান প্রচারে। এছাড়া বিভিন্ন উপজেলা থেকে মুক্তিযোদ্ধাদের অংশ নিতে পরিবহনের ব্যবস্থাও করে জেলা প্রশাসন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন- মুন্সীগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য সাগুফতা ইয়াসমিন এমিলি, জেলা পুলিশ সুপার জায়েদুল আলম, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ মহিউদ্দিন, বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা (বাসস) ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবুল কালাম আজাদ, কালের কন্ঠ পত্রিকার সম্পাদক ও লেখক ইমদাদুল হক মিলন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা বিভাগের ডিন অধ্যাপক আবুল বারাক আলবি, চিত্রশিল্পী ও কার্টুনিস্ট শিশির ভট্টাচার্য্য, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান ও মুক্তিযোদ্ধা আনিসুজ্জামান আনিস, সাবেক সংসদ সদস্য ইদ্রীস আলি।
বাংলাদেশ সময়: ১৯২৮ ঘণ্টা, মার্চ ০২, ২০১৮
আরএ