শুক্রবার (০২ মার্চ) সন্ধ্যায় সংবাদমাধ্যমে তাদের পাঠানো ওই বিবৃতিতে এ প্রশ্ন তোলা হয়। বিবৃতিদাতারা হলেন- সভাপতি প্রার্থী কুদ্দুস আফ্রাদের এজেন্ট জাহাঙ্গীর খান বাবু, সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী জাফর-কামাল প্যানেলের এজেন্ট মো. মোশররফ হোসেন, সভাপতি প্রার্থী আতাউর রহমানের এজেন্ট মোশাররফ হোসেন বাবলু, সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী সেবীকা রানীর এজেন্ট মো. আনোয়ার হোসেন, সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী অমিয় ঘটক পুলকের এজেন্ট গাউসুল আজম বিপু, সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী গাজী জহিরুল ইসলামের এজেন্ট কামরুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী রওশন ঝুনু, সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী এম এ কুদ্দুসের এজেন্ট মো. শাহাযাদা প্রমুখ।
বিবৃতিতে প্রার্থীদের এজেন্টরা বলেন, গত ২৮ ফেব্রুয়ারি ডিইউজে নির্বাচনে বিভিন্ন প্রার্থীর পক্ষ থেকে বুথে দায়িত্ব পালনকালে যেসব জাল-জালিয়াতির ঘটনা দেখেছি, তা বাংলাদেশের কোনো নির্বাচনে কখনও হয়েছে বলে জানা নেই।
‘বিভিন্ন ধরনের অনিয়মের ঘটনা বারবার নির্বাচন কমিটির চেয়ারম্যানসহ সদস্যদের নজরে আনা এবং অভিযোগ উত্থাপনের পরও কেউ কর্ণপাত করেননি। ’
তারা বলেন, প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা দফায় দফায় ভোট কেন্দ্রে উপস্থিত হয়ে নির্বাচন কমিটির চেয়ারম্যানসহ কমিটির সদস্যদের কাছে তাদের প্রতিবাদের কথা জানিয়ে যান। কিন্তু দুঃখজনক বিষয় হচ্ছে, এতসব অভিযোগ জানানোর পরেও বরাবরই নির্বাচন পরিচালনা কমিটির কয়েকজন সদস্য সম্পূর্ণভাবে নির্লিপ্ত ছিলেন।
‘জাল ভোট দিতে আসা ৩০ জনকে হাতে-নাতে ধরিয়ে নির্বাচন কমিশনের হাতে সোপর্দ করা হলেও তাদের রহস্যজনকভাবে ছেড়ে দেওয়া হয়। সন্ধ্যায় ভোট গণণার আগেই বিভিন্ন অনিয়মের কথা জানিয়ে এজেন্ট ও প্রার্থীদের পক্ষ থেকে এ নির্বাচন বাতিলের দাবি জানানো হয়। ’
বিবৃতিতে তারা বলেন, এসব বিষয় নিয়ে নির্বাচন কমিটির চেয়ারম্যানের সঙ্গে বাদানুবাদ চলার সময় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভোটের রেজাল্ট শিট ভাইরাল হয়ে ছড়িয়ে পড়ে। বিষয়টি তাৎক্ষণিকভাবে নির্বাচন কমিটির কর্মকর্তাদের দৃষ্টি গোচর করা হয়।
‘কিন্তু তারপরও তাদের টনক নড়তে দেখা যায়নি। আরও উদ্বেগের বিষয় হচ্ছে, ব্যালট বাক্স থেকে ব্যালট শিট বের করার আগেই কমিটির বেশ কয়েকজন সদস্য বিদায় নিয়ে বাইরে চলে যান। তারা ভোট গণনা প্রক্রিয়ার কোনো স্তরেই আর যুক্ত ছিলেন না। ’
প্রার্থীদের এজেন্টরা অভিযোগ করেন, এবারই প্রথম ভোটারের হাতে ব্যালট পেপার দেওয়া হলেও ভোটারদের টিপসই কিংবা স্বাক্ষর রাখা হয়নি। এমনকি এবারই প্রথম মিছিল করে বুথের মধ্যে অনেককে এক সঙ্গে প্রবেশ করতে গেছে। এতে নির্বাচনী কর্মকর্তারা তাতে বাধা দেননি।
এজেন্টরা বলেন, বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত মধ্যরাতে বিক্ষুব্ধ ডিইউজে প্রার্থীদের প্রতিবাদের মুখে নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্যরা ফলাফল ঘোষণা না করেই কেন্দ্র ত্যাগ করেন। কিন্তু পরেরদিন সন্ধ্যায় ডিইউজে দফতরে একটি ফলাফল গোপনে টানানো হয়েছে বলে পরে আমরা জানতে পেরেছি।
‘‘এই ফলাফল প্রকাশে আমাদের মতামত নেওয়া হয়নি। এ ধরনের ন্যাক্কারজনক ঘটনায় আমরা স্তম্ভিত এবং বিস্মিত। এ পরিস্থিতিতে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন এবং ছবি যুক্ত ভোটার তালিকা প্রণয়নের মাধ্যমে পুনরায় ভোটগ্রহণের আবেদন করছি। ’’
বাংলাদেশ সময়: ২১২৮ ঘণ্টা, মার্চ ০২, ২০১৮
এমএ