পরে স্থানীয়রা শিশুটিকে উদ্ধার করে শ্রীমঙ্গল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেছে।
আহত শিশুটির নাম মামুন মিয়া (১২)।
অভিযোগ অনুযায়ী, এ ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার (২ মার্চ) বিকেলে রামনগর এলাকায়।
এদিকে, শিশু নির্যাতনের ঘটনাটিকে ভিন্ন দিকে প্রবাহিত করতে মানিক নিজেই আহত সেজেছেন।
শুক্রবার রাত ৮টায় শ্রীমঙ্গল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে দেখা যায়, অভিযুক্ত মামুন বিছানায় শুয়ে আছেন। আর পরিবারের সদস্যরা তাকে ঘিরে রয়েছেন।
নির্যাতনের শিকার মামুন বাংলানিউজকে বলে, আমি বিকেলে রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিলাম। এসময় মানিক ও তার পরিবারের লোকজন আমাকে ধরে নিয়ে ঘরে বন্দি করে মারতে থাকেন এবং আমার পায়ে সূচ ফুটিয়ে দেন। তারপর হুমকি দিয়ে বলেন, কাউকে যদি এ ঘটনা বলি তাহলে আমাকে ডেগার মেরে দিবে।
প্রত্যক্ষদর্শী আরিফ বলেন, মানিক এবং তার পরিবারের সদস্যরা মিলে মামুনের পায়ে সূচ ফুটিয়ে দেন। পরে মামুনকে উদ্ধার করতে গেলে স্থানীয় ইমনের উপরও চড়াও হন তারা।
রামনগর এলাকার ওয়ার্ড কাউন্সিলর আরজু মিয়া বাংলানিউজকে বলেন, মানিক ভালো মানুষকে পুলিশের খাতায় নাম লিখিয়ে বেকাদায় ফেলে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেন। তিনি একজন স্ত্রী নির্যাতনকারীও। তার স্ত্রীকে নির্যাতনের ছবিও রয়েছে এলাকার কারো কারো কাছে। তিনি এবার শিশু নির্যাতনকারী খাতায় নাম লেখালেন মানিক।
অভিযোগ অস্বীকার করে মানিক বলেন, আমি বিকেলে বাড়ি ছিলাম না। শ্রীমঙ্গল শহরের ছিলাম। বাসায় আসার পর আমার ওপর স্থানীয়রা আমার ওপর হামলা করেছেন।
শ্রীমঙ্গল স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ডা. মিনাক্ষ্মী দেবনাথ বলেন, মামুনের শরীরে ‘ট্রমাটিক পেইন’ অর্থাৎ সারা শরীরে ব্যথা রয়েছে। পায়ে এবং হাতে আঘাতের চিহ্নও রয়েছে।
এ ব্যাপারে সহকারী পুলিশ সুপার (শ্রীমঙ্গল-কমলগঞ্জ সার্কেল) আশরাফুজ্জামান বাংলানিউজকে বলেন, বিষয়টি আমি জানতাম না। আপনার কাছ থেকে অবগত হলাম। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবো।
বাংলাদেশ সময়: ০৩৪১ ঘণ্টা, মার্চ ২, ২০১৮
বিবিবি/এসআই