ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

এরশাদের মাসিক আয় ৯ লাখ ৩ হাজার ৫১৭ টাকা

ইকরাম-উদ দৌলা, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১১৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১, ২০১৮
এরশাদের মাসিক আয় ৯ লাখ ৩ হাজার ৫১৭ টাকা জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের ফাইল ছবি

ঢাকা: সাবেক রাষ্ট্রপতি ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের মাসিক আয় ৯ লাখ ৩ হাজার ৫১৭ টাকা। নিজের নামের চেয়ে স্ত্রীর নামেই সম্পদ বেশি। আর ব্যাংকে ঋণ ২ কোটি ৩২ লাখ ৪ হাজার ৬৩৫ টাকা। নিজের চেয়ে স্ত্রীর নামেই বেশি সম্পদ গড়েছেন তিনি।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের হলফনামায় হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ এমন তথ্যই জানিয়েছেন। তিনি রংপুর-৩ ও ঢাকা-১৭ আসন থেকে এবারের নির্বাচনে অংশ নিতে মনোনয়পত্র জমা দিয়েছেন।

হলফনামায় তিনি শিক্ষাগত যোগ্যতা উল্লেখ করেছেন বিএ পাস। পিতা-মকবুল হোসেন, মাতা- মজিদা খাতুন। স্থায়ী ঠিকানা নিউ সেনপাড়া, রংপুর সদর।

তিনি বর্তমানে ৬টি ফৌজদারি মামলার আসামি। যার দু’টি বিচারাধীন, চারটি স্থগিত। আগে ২৭টি ফৌজদারি মামলা ছিল। যার মধ্যে ১৩টিতে খালাস, ৫টি অব্যাহতি, একটিতে তিন মাসে সাজাভোগ ও জরিমানা দিয়ে নিষ্পত্তি পেয়েছেন। চারটিতে সবশেষ রিপোর্ট দেওয়া হয়েছে। মামলাগুলোর বেশিরভাগই দুর্নীতির অভিযোগে দায়ের করা হয়েছিল।

পেশার বিবরণীতে তিনি নিজেকে সাবেক রাষ্ট্রপতি ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হিসেবে উল্লেখ করেছেন।  

স্ত্রীর নামেই বেশি সম্পদ গড়েছেন এরশাদ

হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ ব্যবসা থেকে ২ লাখ ৬৫ হাজার টাকা, বিশেষ দূতের সম্মানী ১৯ লাখ ৪ হাজার ৬৯৬ টাকা, সংসদ সদস্যের সম্মানী ১২ লাখ ৬০ হাজার, ব্যাংকের পরিচালনা পরিষদের সম্মানী ৭৪ লাখ ৭১ হাজার ১০ টাকা বছরে আয় করেন। তার মাসি আয় ৯ লাখ ৩ হাজার ৫১৭ টাকা ১৭ পয়সা।

অস্থাবর সম্পত্তি হিসেবে নিজ হাতে নগদ ২৮ লাখ ৫৩ হাজার ৯৯৮ টাকা ও স্ত্রীর হাতে নগদ আছে ২৬ কোটি ২০ লাখ ২৯ হাজার ২৩৩ কোটি টাকা রয়েছে বলেও উল্লেখ করেছেন। ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমা আছে ৩৭ লাখ ৬৯ হাজার ৪৬ টাকা। স্ত্রীর নামে জমা আছে- সোনালী ব্যাংকে ৪৭ লাখ ৯৮ হাজার ২২টাকা এবং ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকে ২৬ লাখ ৯১ হাজার ৬৯১ টাকা। বিভিন্ন কোম্পানির শেয়ার আছে নিজের নামে ৪৪ কোটি ১০ টাকা এবং স্ত্রীর নামে ৫০ হাজার টাকার।

এছাড়া নিজের নামে রয়েছে ৯ কোটি ২০ লাখ টাকার এফডিআর, ডিপিএস ৯ লাখ টাকার। স্ত্রীর নামে ৩ কোটি ২ লাখ ৯২ হাজার ৫০০ টাকার এফডিআর, সেভিং সার্টিফিকেট ৬০ লাখ টাকা এবং বিনিয়োগ আছে ২৫ লাখ ৮০ হাজার টাকার। স্ত্রীর ১০০ ভরি স্বর্ণ রয়েছে।

নিজের নামে ৬০ হাজার টাকার ইলেকট্রনিক ও আসবাবপত্র রয়েছে। আর স্ত্রীর নামে রয়েছে ১৫ লাখ টাকার।  

নিজ নামে ব্যবসায় মূলধন ১২ লাখ ৫১ হাজার ১৫৪ টাকা ও জমি বিক্রয় ২ কোটি ৫০ লাখ ৪০ হাজার টাকার দেখিয়েছেন এরশাদ।

স্থাবর সম্পদের মধ্যে দেখানো হয়েছে

নিজের নামের কৃষি জমি না থাকলেও স্ত্রীর নামে রংপুরে ৩৩ লাখ টাকার ৫০ শতাংশ এবং ঢাকার পূর্বাচলে ১৮ লাখ টাকার সাড়ে ৭ কাঠা জমি আছে।  

বনানীতে নিজের নামে শপিং কমপ্লেক্স রয়েছে, যার মূল্য ৭৭ লাখ টাকা। রাজধানীর বারিধারায় ৬২ লাখ ৪০ হাজার টাকা মূল্যের একটি ফ্ল্যাট, বনানীতে ৪৯ লাখ টাকার একটি ফ্ল্যাট এবং গুলশানে ৬২ লাখ টাকার একটি ফ্ল্যাট রয়েছে। আর স্ত্রীর নামে গুলশানে ১ কোটি ৩০ লাখ টাকা মূল্যের ফ্ল্যাট ও গুলশান মডেল টাউনে ৫ কোটি ৫০ লাখ টাকার জমি দেখানো হয়েছে হলফনামায়।

এছাড়া ইউনিয়ন ব্যাংক ও ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকে ঋণ আছে ২ কোটি ৩২ লাখ ৪ হাজার ৬৩৫ টাকা।  

আগামী ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। মনোনয়পত্র বাছাই হবে ২ ডিসেম্বর। প্রার্থিতা প্রত্যাহার ৯ ডিসেম্বর। আর প্রতীক বরাদ্দ ১০ ডিসেম্বর।  

বাংলাদেশ সময়: ২০১২ ঘণ্টা, নভেম্বর ৩০, ২০১৮
ইইউডি/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।