ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

হিজড়াদের আদমশুমারিতে অন্তর্ভুক্তির দাবি

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৫৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৩, ২০১৮
হিজড়াদের আদমশুমারিতে অন্তর্ভুক্তির দাবি হিজড়াদের অন্তর্ভুক্তি বিষয়ক সভা, ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: আগামী আদমশুমারিতে হিজড়া জনগোষ্ঠীকে অন্তর্ভুক্তির দাবি জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। জনশুমারিতে যেন কোনোভাবেই সমাজের পিছিয়ে থাকা জনগোষ্ঠী তথা হিজড়া সম্প্রদায় বাদ না যায় সেদিকে খেয়াল রাখতে বলা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৩ ডিসেম্বর) জাতীয় মানবাধিকার কমিশন কার্যালয়ে আদমশুমারিতে হিজড়াদের অন্তর্ভুক্তি বিষয়ক সভায় এ আহ্বান জানানো হয়।

বন্ধু সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার সোসাইটি ও জাতীয় মানবাধিকার কমিশন যৌথভাবে এ সভার আয়োজন করে।

বন্ধু সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার সোসাইটি’র সভাপতি আনিসুল ইসলাম হিরোর সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন জামুকা’র চেয়ারম্যান কাজী রিয়াজুল হক, বিশেষ অতিথি ছিলেন, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর মহাপরিচালক ড. কৃষ্ণা গায়েন, এনজিও বিষয়ক ব্যুরোর পরিচালক গোকুল কৃষ্ণ ঘোষ, ডিআইজি হাবিবুর রহমান, অস্ট্রেলিয়া হাই কমিশনের ফাস্ট সেক্রেটারি কেভিন গহ, ইউএসআইডি’র প্রতিনিধি সালভিকা রেডোসিভ।

সভায় কী নোট উপস্থাপন করেন প্রফেসর রোবায়েত ফেরদৌস।

কাজী রিয়াজুল হক বলেন, দেশের জনগোষ্ঠীর মধ্যে সবচেয়ে বেশি অবহেলিত হলো হিজড়ারা। তাদের মূল ধারায় আনতে সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে। আগামী শুমারিতে যেন তারা বাদ না যায় সেজন্য এখন থেকেই একটি চেক লিস্ট তৈরি করা যেতে পারে। এজন্য হিজড়াদের সঙ্গে কথা বলতে হবে তারা আসলে কি চায় সেসব বিষয়ও জানতে হবে।

ড. কৃষ্ণা গায়েন বলেন, আমরা ২০২১ সালের আদমশুমারিতে হিজড়া জনগোষ্ঠীর বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত রেখেই পরিকল্পনা করেছি। এবার জনশুমারিতে কেউ যেন লুকিয়ে না থাকে কেউ যেন বাদ না যায় সেজন্য প্রচুর প্রচারণা চালাতে হবে। আমরা এবার শুমারিতে অপশন রাখতে যাচ্ছি। যদি কেউ মনে করে বাদ গেছেন তাহলে সে অনলাইনেও তথ্য দিতে পারবেন।

ডিআইজি হাবিবুর রহমান বলেন, হিজড়ারা সব সমস্যায় জড়জড়িত। তাদের হিজড়া নয় মানুষ হিসেবে পাশে দাঁড়াবার সুযোগ করে দিতে হবে। হিজড়ারা যেন দূরে না থাকে সেজন্য আগামী শুমারিতে প্রয়োজনে বিশেষ শুমারি করার পরিকল্পনা করতে হবে।

কী নোটে জানানো হয়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৩ সালে হিজড়া জনগোষ্ঠীর মানুষদের প্রথমবারের মতো নারী ও পুরুষের বাইরে পৃথক লিঙ্গ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এরফলে তারা নিজেদের স্বতন্ত্র হিজড়া পরিচয়ে পাসপোর্ট, জাতীয় পরিচয়পত্র, ভোটার তালিকায়সহ বিভিন্ন ফর্মে নাম লিখতে পারবে, কিন্তু এই স্বীকৃতি যথেষ্ট নয়। কারণ পাঁচবছর পেরিয়ে গেছে কিন্তু দৈনন্দিন, সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় জীবনে স্বীকৃতির সঠিক প্রতিফলন দেখছি না। শিক্ষা প্রতিষ্ঠনে বা চাকরিতে তাদের জন্য কোটা সংরক্ষণের ব্যবস্থা এখনও হয়নি।

অনন্যা হিজড়া বলেন,  আমরা এখনো নিরাপত্তাহীনতায় ভুগি। নির্বাচনের আগে-পরে আমাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্য আজ আমরা গর্ববোধ করি, আমরা নিজেদের পরিচয় দিতে পারি। স্বীকৃতি দিয়েছেন কিন্তু পরবর্তী ধাপগুলো এখনো বাস্তবায়ন হয়নি, তবে আস্তে আস্তে হবে বলে আশা করি।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৩, ২০১৮
এসএম/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।