অন্যান্য সিটি করপোরেশন এলাকায় ব্যানার-পোস্টার অপসারণ হলেও খুলনায় এখনো শুরুই হয়নি। যদিও সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, প্রার্থীদের ব্যানার-পোস্টার অপসারণের জন্য বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হবে।
নগরী ঘুরে দেখা গেছে, রূপসা ট্রাফিক মোড়, কলেজিয়াট স্কুলের সামনে, সুন্দরবন কলেজের সামনে, খুলনা আলিয়া মাদ্রাসার সামনে, পিটিআই মোড়, র্যয়ালের মোড়, শান্তিধাম মোড়, শামসুর রহমান রোড, ময়লা পোতার মোড়, শিববাড়ির মোড়, বিএল কলেজের সামনে, ফুল বাড়ি গেট এলাকায় পোস্টারের ছড়াছড়ি। অলি-গলি থেকে শুরু করে বিদ্যুতের খুঁটি, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, ভোটকেন্দ্র, বিজ্ঞাপনের বিলবোর্ড, মার্কেট-বিপণিবিতান, বাসা-বাড়ির দেয়ালসহ সবখানেই ছেয়ে আছে পোস্টার-ব্যানারে। নির্বাচন শেষ হওয়ার পর খুলনা এখনো পোস্টারের নগরী। এসব পোস্টারের কারণে নগরীর শ্রীহীন চেহারা তৈরি হয়েছে। বিশেষ করে যেসব প্রতিষ্ঠানে ভোটকেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছিল, তার আশপাশের অবস্থা বেশি খারাপ। অনেক স্থানে পোস্টারগুলো ছিঁড়ে পড়ে সেখানকার সড়কও নোংরা হচ্ছে। সড়ক থেকে এসব পোস্টার ড্রেন-ম্যানহোলেও ঢুকছে। আটকে যাচ্ছে ড্রেনের পানির গতি।
অভিযোগ রয়েছে, প্রার্থীদের হলফনামায় উল্লেখিত পোস্টারের সংখ্যার চেয়ে অনেকে বেশি পোস্টার ছাপানো হয়েছিল। যার কারণে শহরজুড়ে এত পোস্টার।
নগরবাসী বলছেন, নির্বাচন শেষ হয়েছে এক সপ্তাহ হয়ে গেল। এমন কোনো অলি-গলি নেই যেখানে এখনো নির্বাচনে অংশ নেওয়া প্রার্থীদের পোস্টার নেই। এ অবস্থান নগরীর সৌন্দর্য নষ্ট হচ্ছে। তাই সিটি করপোরেশনের উচিত এগুলো অপসারণ করে শহরের স্বাভাবিক সৌন্দর্য ফিরিয়ে আনা।
রোববার (০৬ জানুয়ারি) সকালে মাসুম বিল্লাহ নামের এক আইনজীবী বলেন, সংসদ নির্বাচনের এক সপ্তাহ অতিবাহিত হতে চলেছে। ইতোমধ্যে নবনির্বাচিত সংসদ সদস্যরা শপথও নিয়েছেন। কিন্তু এখনো সরানো হয়নি নির্বাচনী প্রচার সামগ্রী ব্যানার-পোস্টার। অন্য সিটি করপোরেশনে পোস্টার অপসারণ হলেও সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণকারীদের ব্যানার-পোস্টারে এখনো ছেয়ে আছে খুলনার বেশিরভাগ এলাকা। বিশেষ করে অলি-গলির পোস্টার-ব্যানার আগের মতোই আছে।
এ বিষয়ে খুলনা সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (উপ-সচিব) পলাশ কান্তি বালা বাংলানিউজকে বলেন, আমরা একটি বিজ্ঞপ্তি দেব যাতে সাতদিনের মধ্যে পোস্টার তুলে নেয়। না তুললে নগরীর সৌন্দর্য ফেরাতে অপসারণের ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ বিষয়ে আজ থেকে মাইকিংও শুরু হবে।
বাংলাদেশ সময়: ০৯৩৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৬, ২০১৯
এমআরএম/ওএইচ/