রোববার (০৬ জানুয়ারি) সকালে পুলিশ গ্রেফতারকৃত আটজনের মধ্যে সাতজনকে আদালতে সোপর্দ করে সাতদিন করে রিমান্ড চাইলে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নবনীতা গুহ তাদের পাঁচদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এদিকে ভোর রাত থেকে ও বিকেল ৫টা পর্যন্ত পৃথক স্থানে অভিযান চালিয়ে এ মামলার বাকি দুই আসামিকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফরকৃতরা হলেন, মধ্যবাগ্গা গ্রামের টোকাইয়ের ছেলে সালা উদ্দিন ও একই গ্রামের সেরু মিয়ার ছেলে আবুল।
পুলিশ জানায়, রোববার ভোরে ফেনীর সদর উপজেলার সুলতানপুর এলাকার তার এক আত্মীয়ের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে মামলার এজাহারভুক্ত আসামি সালা উদ্দিনকে গ্রেফতার করেছে নোয়াখালী জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) একটি দল।
এরপর বিকেল ৫টার দিকে চরজুবলী ইউনিয়নের আটকপালিয়া বাজার এলাকায় আবুলের স্ত্রী স্থানীয় এলাকাবাসীর সহযোগিতায় আবুলকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করা হয়।
চরজব্বার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) মো. ইব্রাহিম খলিল জানান, রোববার সকালে মামলার এজাহারভুক্ত আসামি বাদশা আলম বাসু, মো. সোহেল, মো. স্বপন, ইব্রাহিম খলিল বেচু, ঘটনার মূলহোতা রুহুল আমিন, জড়িত সন্দেহে গ্রেফতার হাসান আলী ভুলু ও জসিম উদ্দিনকে জেলা জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট-২ আমলি আদালতে (চরজব্বার) সোপর্দ করা হয়। এসময় তাদের প্রত্যেকের সাতদিন করে রিমান্ড আবেদন করে পুলিশ। পরে রিমান্ড শুনানি শেষে পাঁচদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
ওই গৃহবধূ এবং তার স্বজনদের অভিযোগ, রোববার (৩০ ডিসেম্বর) নির্বাচনের দিন সেই নারী ধানের শীষে ভোট দিয়ে ফেরার পথে তাকে দেখে নেওয়ার হুমকি দেন সুবর্ণচর উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক রুহুল আমিন। এরপর রাতে রুহুল আমিনের নেতৃত্বে ১০ জন মিলে চর বাগ্গা গ্রামে ওই গৃহবধূর বাড়িতে গিয়ে তার স্বামী ও সন্তানদের বেঁধে রেখে তাকে বাইরে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণ করেন। এছাড়া ওই দম্পতি এবং তাদের সন্তানদের পিটিয়ে জখম করেন তারা।
এরপর সকালে সেই নারীকে উদ্ধার করে ২৫০ শয্যার নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তখন হাসপাতালের চিকিৎসকরা সেই নারীকে গণধর্ষণ ও পিটিয়ে জখম করার আলামত পাওয়ার কথা জানান। এ নিয়ে পরের দিন ৩১ ডিসেম্বর সেই নারীর স্বামী চরজব্বার থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১২৪০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৬, ২০১৯
এসআই