রোববার (০৬ জানুয়ারি) সকাল ১০টায় সুবর্ণচর উপজেলা পরিষদের সামনে পৃথক দু’টি মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী ও বিভিন্ন শ্রেণীপেশার লোকজন অংশ নেন।
মানববন্ধনে ওই নারীর ওপর পৈচাশিক নির্যাতনের সঙ্গে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত সবাইকে গ্রেফতার করে আসামিদের ফাঁসির দাবি জানান বক্তারা।
ওই গৃহবধূ এবং তার স্বজনরা জানান, রোববার (৩০ ডিসেম্বর) নির্বাচনের দিন ওই নারী ধানের শীষে ভোট দিয়ে ফেরার পথে তাকে দেখে নেওয়ার হুমকি দেন সুবর্ণচর উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক রুহুল আমিন। এরপর রাতে রুহুল আমিনের নেতৃত্বে ১০ জন ওই গৃহবধূর বাড়িতে গিয়ে তার স্বামী ও সন্তানদের বেঁধে রেখে তাকে বাইরে নিয়ে গণধর্ষণ করেন। এছাড়া ওই দম্পতি এবং তাদের সন্তানদের পিটিয়ে জখম করেন।
এরপর সকালে নির্যাতিতা ওই নারীকে উদ্ধার করে ২৫০ শয্যা নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তখন হাসপাতালের চিকিৎসকরা গণধর্ষণ ও পিটিয়ে জখম করার আলামত পাওয়ার কথা জানান। এ নিয়ে পরের দিন ৩১ ডিসেম্বর সেই নারীর স্বামী চরজব্বার থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
মামলা দায়েরের পর থেকে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন এলাকা থেকে এ ঘটনার মূলহোতা রুহুল আমিন, আসামি বেচু, জসিম উদ্দিন ওরফে জইস্যা (৩৫), হাসান আলী ভুলু (৬০), চরবাগ্গা গ্রামের মৃত ইসমাইলের ছেলে সোহেল (৩৫), মৃত আব্দুল মান্নানের ছেলে স্বপন (৩৫) ও একই গ্রামের আহমদ উল্লার ছেলে বাসুকে (৪০) গ্রেফতার করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৬, ২০১৯
আরএ