শনিবার (৫ জানুয়ারি) রাতে কুলাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে তার মৃত্যু হয়।
জাহিদ জুড়ী উপজেলার ফুলতলা ইউনিয়নের কোনাগাঁও এলাকার মৃত বশির মিয়ার ছেলে।
নিহতের ভাই জাহাঙ্গীর আলম বাংলানিউজকে অভিযোগ করেন, জাহিদ তার স্ত্রী মল্লিকা ও শাশুড়ির সঙ্গে ফুলতলা বাজার এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকেন। শ্বশুরবাড়ির লোকজনের সঙ্গে তার টাকা-পয়সা নিয়ে বিরোধ চলছিল। এরই জের ধরে এর আগে একবার স্ত্রী করা মামলায় কারাবরণ করে বেরিয়ে আসেন জাহিদ। শনিবার সন্ধ্যায় তার ভাই সুস্থভাবে ফুলতলা বাজারে অবস্থান করছিলেন। হঠাৎ জুড়ী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ফরহাদ জাহিদকে আটক করে বাসায় নিয়ে যান। সেখানে তার শশুরবাড়ির লোকজন অবস্থান করছিলেন। আধঘণ্টা পর সুস্থ ভাইকে আধমরা অবস্থায় বের করে পুলিশ। পরে হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক তার ভাইকে মৃত ঘোষণা করেন।
অভিযোগ অস্বীকার করে জুড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহাঙ্গীর হোসেন সর্দার বাংলানিউজকে জানান, জাহিদকে শনিবার সন্ধ্যায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে আটক করে পুলিশ। পরে তার বাসায় নিয়ে গিয়ে তল্লাশি চালানো হয়। সেসময় বাসা থেকে ছয় পিস ইয়াবা, চার বোতল ফেনসিডিল ও দুই বোতল মদ জব্দ করা হয়। এসময় হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন জাহিদ। পরে তাকে কুলাউড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
অতিরিক্ত মাদক সেবনের কারণে তিনি হৃদ রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যেতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন দেখে মৃত্যুর কারণ জানা যাবে বলেও জানান তিনি।
বাংলাদেশ সয়ম: ১৬১৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৬, ২০১৯
এসআরএস