একেবারে নতুনদের মধ্যে পূর্ণমন্ত্রী নয়জন, প্রতিমন্ত্রী ১৫ জন এবং উপ-মন্ত্রীর তিনজনই নতুন।
নতুন মন্ত্রীদের মধ্যে পররাষ্ট্রে এসেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের ভাই ড. একে আবদুল মোমেন।
কুমিল্লা-৯ আসন থেকে নির্বাচিত এবং বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি মো. তাজুল ইসলাম পেয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও রংপুর-৪ আসন থেকে নির্বাচিত টিপু মুনশিকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
নারায়ণগঞ্জ-১ থেকে নির্বাচিত ও গাজী গ্রুপের কর্ণধার গোলাম দস্তগীর গাজীকে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
শিল্প মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি নরসিংদী-৪ থেকে নির্বাচিত নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুনকে শিল্প মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দিয়েছেন শেখ হাসিনা।
আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক পিরোজপুর-১ থেকে নির্বাচিত শ ম রেজাউল করিমকে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
খাদ্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেয়েছেন নওগাঁ-১ থেকে নির্বাচিত অওয়ামী নেতা সাধন চন্দ্র মজুমদার।
জাতীয় সংসদের হুইপ ও মৌলভীবাজার-১ থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য মো. শাহাবুদ্দিনকে শেখ হাসিনা পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দিয়েছেন। পঞ্চগড়-২ থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য ব্যবসায়ী নেতা মো. নূরুল ইসলাম সুজনকে রেলপথ মন্ত্রণালয়ে নিযুক্ত করা হয়েছে।
এর বাইরে ২০০৮ সালের মন্ত্রিসভায় স্থান পাওয়াদের মধ্যে কৃষি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেয়েছেন সাবেক খাদ্যমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক। তথ্য মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন সাবেক পরিবেশ ও বন মন্ত্রী মোহাম্মদ হাছান মাহমুদ এবং শিক্ষায় এসেছেন সাবেক পররাষ্ট্র মন্ত্রী ড. দীপু মনি।
নতুন প্রতিমন্ত্রী
প্রবীণ রাজনীতিবিদ ও ঢাকা-১৫ থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য কামাল আহমেদ মজুমদারকে শিল্প প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব দিয়েছেন শেখ হাসিনা।
ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি সিলেট-৪ থেকে নির্বাচিত ইমরান আহমেদকে প্রবাসী কল্যাণের প্রতিমন্ত্রী করা হয়েছে।
দিনাজপুর-২ থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য এবং আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরীকে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দিয়েছেন শেখ হাসিনা। এই মন্ত্রণালয়ে পূর্ণ মন্ত্রী নেই।
যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও আওয়ামী লীগ নেতা প্রয়াত আহসান উল্লাহ মাস্টারের ছেলে জাহিদ আহসান রাসেলকে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। রাসেল গাজীপুর-২ থেকে নির্বাচিত হয়েছিলেন।
নেত্রকোনা-২ থেকে নির্বাচিত কয়েকবারের সংসদ সদস্য আশরাফ আলী খান খসরুকে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদের দায়িত্ব দেওয়া হয়।
কুড়িগ্রাম-২ থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য মো. জাকির হোসেনকে প্রাথমিক ও গণশিক্ষায় দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
ঢাকা-১৯ (সাভার) থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য ডা. এনামুর রহমানকে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। রানা প্লাজা ধসের পর তার হাসপাতাল এনাম মেডিকেলে আহতদের তাৎক্ষণিক চিকিৎসা দিয়ে আলোচনায় আসেন এই সংসদ সসদ্য।
দুইবারের সংসদ সদস্য ও মেহেরপুর-১ থেকে নির্বাচিত অধ্যক্ষ ফরহাদ হোসেনকে জনপ্রশাসনের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
আওয়ামী লীগ নেতা যশোর-৫ থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য স্বপন ভট্টাচার্যকে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ে দিয়েছেন শেখ হাসিনা।
বরিশাল-৫ থেকে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি জাহিদ ফারুককে পানি সম্পদে, জামালপুর-৪ থেকে নির্বাচিত মুরাদ হাসানকে স্বাস্থ্যে, ময়মনসিংহ-২ এর সংসদ সদস্য শরীফ আহমেদকে সমাজকল্যাণ, ময়মনসিংহ-৫ থেকে নির্বাচিত কেএম খালেদকে সংস্কৃতি, হবিগঞ্জ-৪ এর সংষদ সদস্য মাহবুব আলীকে বিমান, আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক শেখ মোহাম্মদ আব্দুল্লাহকে টেকনোক্র্যাট কোটায় ধর্ম প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
২০০৮ সালের নির্বাচনের পর শ্রম প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব চালিয়ে আসা বেগম মন্নুজান সুফিয়ানকে এবারও শ্রম ও কর্মসংস্থানের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
উপ-মন্ত্রী তিনজনই নতুন
বাগেরহাট-৩ থেকে নির্বাচিত বেগম হাবিবুর নাহারকে পরিবেশ, শরীয়তপুর-২ এর সংসদ সদস্য এনামুল হক শামীমকে পানি সম্পদে টেকনোক্র্যাট কোটায় মহিবুল হাসান চৌধুরীকে (নওফেল) শিক্ষার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮১৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৬, ২০১৮
এমআইএইচ/এসএম