রোববার (৬ জানুয়ারি) সকালে নগরীর জিন্দাবাজার এলাকায় দিনভর সিসিকের হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা আ ন ম মনসুফের নেতৃত্বে অভিযান চালানো হয়। এসময় প্রায় সোয়া ২ লাখ টাকা বকেয়া বিল আদায় করা হয়।
গত ২ জানুয়ারি সিসিক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর নেতৃত্বে বকেয়া ১শ’ কোটি টাকা আদায়ে অভিযান শুরু করা হয়। শুক্র-শনি সরকারি ছুটি শেষে রোববার ফের অভিযান চালায় সিসিক।
সিসিক সূত্র জানায়, দীর্ঘদিন থেকে বিল খেলাপিদের বিরুদ্ধে বার বার নোটিশ প্রদান সত্বেও বিল পরিশোধ না করায় বকেয়া বিল আদায়ে অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। বিল আদায়ের লক্ষ্যে সিসিক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী গঠন করেন তিনটি টিম।
রোববার অভিযান শেষে সিসিকের হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা আ ন ম মনসুফ জানান, সিটি কর্পোরেশনের মূল আয়ের খাত হচ্ছে হোল্ডিং ট্যাক্স। এই খাতের আয় থেকে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন ও আনুষঙ্গিক খরচ চালায় সিটি কর্পোরেশন। আর এই খাতে বকেয়ার পরিমাণ প্রায় ৬৭ কোটি টাকা, পানির বিলের বকেয়ার পরিমাণ ১২ কোটি টাকা, ট্রেড লাইসেন্স বাবদ বকেয়ার পরিমাণ ২০ কোটি টাকা এবং বিলবোর্ড বাবদ বকেয়ার পরিমাণ ১ কোটি টাকা রয়েছে। সিসিকের অন্যসব কাজ-কর্ম বন্ধ রেখে বাধ্য হয়ে অভিযানে নামতে হয়েছে।
গঠিত তিনটি টিমের দয়িত্বে আছেন-সিসিকের সচিব মোহাম্মদ বদরুল হক, আরেকটিতে সিসিকের প্রধান প্রকৌশলী নূর আজিজুর রহমান আর অন্যটিতে নির্বাহী প্রকৌশলী আলী আকবর।
বকেয়া বিল আদায় না হওয়া পর্যন্ত ধারাবাহিকভাবে নগরীর ২৭টি ওয়ার্ডে অভিযান অব্যাহত থাকবে। অভিযানে সিসিকের লাইসেন্স কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর হোসেন, ট্যাক্সেশন অফিসার আফতাব উদ্দিন, লাইসেন্স পরিদর্শক রুবেল আহমদ নান্নুসহ সিসিকের অন্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ২১১৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৬, ২০১৯
এনইউ/আরআর