মামলার এজাহারভুক্ত ছয় আসামি ও ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে চার জনসহ মোট ১০ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এরমধ্যে সাত জনের পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
রোববার ভোর রাত থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত পৃথক স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতাররা হলেন- ওই ইউনিয়নের মধ্য চরবাগ্গা গ্রামের টোকাইয়ের ছেলে সালা উদ্দিন, একই গ্রামের সেরু মিয়ার ছেলে আবুল ও রফিক উল্যার ছেলে মুরাদ।
চরজব্বর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ইব্রাহিম খলিল বাংলানিউজকে বলেন, রোববার ভোর রাতের দিকে ফেনীর সদর উপজেলার সুলতানপুর এলাকার এক আত্মীয়ের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে মামলার এজাহারভুক্ত আসামি সালা উদ্দিনকে গ্রেফতার করেছে নোয়াখালী ডিবি পুলিশের একটি দল। পরে ওইদিন বিকেল ৫টার দিকে চরজুবলী ইউনিয়নের আটকপালিয়া বাজার এলাকায় আবুলের স্ত্রী স্থানীয়দের সহযোগিতায় মামলার এজাহারভুক্ত আসামি আবুলকে গ্রেফতার করে পুলিশে সোপর্দ করেছে।
ধর্ষণের সঙ্গে জড়িত থাকার সন্দেহে রোববার সন্ধ্যায় সেনবাগের ছাতারপাইয়া নুরু মিয়া ব্রিক ফিল্ড এলাকা থেকে মুরাদকে গ্রেফতার করেছে ডিবি পুলিশ।
গত ৩০ ডিসেম্বর (সোমবার) রাত ১১টার দিকে নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলার চরজুবলী ইউনিয়নের চরবাগ্গা গ্রামে স্বামী-সন্তানকে বেঁধে চার সন্তানের জননীকে গণধর্ষণের ঘটনা ঘটে। বিরোধী একটি দলকে ভোট দেওয়ায় বর্বরোচিত এ ঘটনা ঘটেছে বলে ধর্ষিতার স্বামী অভিযোগ করেছেন। অভিযুক্ত নয় জনকে আসামি করে চর জব্বার থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের হয়েছে। ওই গৃহবধূর স্বামী বাদী হয়ে ৩১ ডিসেম্বর (মঙ্গলবার) মামলাটি দায়ের করেন।
এরপর বিভিন্ন সময় বিভিন্ন এলাকা থেকে এ ঘটনার মূলহোতা রুহুল আমিন, বেচু, জসিম উদ্দিন ওরফে জইস্যা (৩৫), হাসান আলী ভুলু (৬০), চরবাগ্গা গ্রামের মৃত ইসমাইলের ছেলে সোহেল (৩৫), মৃত আব্দুল মান্নানের ছেলে স্বপন (৩৫) ও একই গ্রামের আহমদ উল্লার ছেলে বাসুকে (৪০) গ্রেফতার করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ০২০০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৭, ২০১৯
জিপি