অপহৃত শিশু দীপা রানী (পুটি) ওই এলাকার ভাড়াটিয়া বাসিন্দা ও কাউনিয়া এলাকার একটি মিষ্টির দোকানের কর্মচারী বিনয় সমাদ্দারের মেয়ে।
রোববার (৬ জানুয়ারি) শিশুর বাবা বিনয় সমাদ্দার সাংবাদিকদের এ কথা জানান।
তিনি বলেন, রোববার সকাল ১০টার দিকে তার শিশু কন্যা দীপা ঘরের সামনেই খেলা করছিলো। এর কিছুক্ষণ পরে থেকেই তাকে আর খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিলো না। সেসময় ধারণা করা হচ্ছিলো শিশুটি হারিয়ে গেছে তাই আশপাশে খোঁজাখুঁজির পাশাপাশি মাইকিংও করা হয়। পরে দুপুরের দিকে একটি অপরিচিত নম্বর থেকে শিশুটি বাবার নম্বরে কল আসে। অপর প্রান্তে থাকা ব্যক্তির নিজের নাম-পরিচয় গোপন রেখে মেয়েকে ফিরে পেতে ৪০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। তখন তার পরিচয় জানতে চাওয়া মাত্রই ফোন কেটে দেয়।
এর কিছু সময় বাদে দ্বিতীয় দফায় একই নম্বর থেকে আবারও কল আসে এবং মুক্তিপণের জন্য টাকা চাওয়া হয়। তবে কিভাবে টাকা পাঠাতে হবে বা কোথায় দিয়ে আসতে হবে তা না জানিয়েই ফোন কেটে দেয়। তাৎক্ষণিকভাবে বিষয়টি থানায় অবহিত করা হয় বলেও জানান বিনয় সমাদ্দার।
এদিকে এ ঘটনা জানার পরে শিশুটিকে উদ্ধারে মাঠে নেমেছে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ (বিএমপি)। ঘটনাস্থল পরিদর্শন ও শিশুটির পরিবারের সঙ্গে কথা বলেছেন— বিএমপি’র উপ-পুলিশ কমিশনার (দক্ষিণ) মোয়াজ্জেম হোসেন ভূঞা, কোতোয়ালি মডেল থানার সহকারী পুলিশ কমিশনার মো. রাসেল, মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের সহকারী পুলিশ কমিশনার নাছির উদ্দিন মল্লিকসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
শিশুটিকে উদ্ধারে জোড়ালোভাবে পুলিশ টিম কাজ করছে বলে বাংলানিউজকে জানান, নগর পুলিশের মুখপাত্র ও সহকারী পুলিশ কমিশনার (ডিবি) নাসির উদ্দিন মল্লিক।
বাংলাদেশ সময়: ০৩৫৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৭, ২০১৯
এমএস/জিপি