এ অবস্থার মধ্যে মালিকপক্ষ ও পুলিশের আশ্বাসের পরেও তারা অনড় অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ চালিয়ে যাচ্ছেন। এর ফলে বিমানবন্দর-আব্দুল্লাহপুর সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় দুর্ভোগে পড়েছেন সাধারণ জনগণ।
সোমবার (৭ জানুয়ারি) সকাল ১০টার পর থেকে বেশ কয়েকটি গার্মেন্টস শ্রমিকরা উত্তরার বিভিন্ন স্থানে সড়কে অবস্থান নিলে এ অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়।
এদিকে, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুরো এলাকায় বাড়তি পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। এর মধ্যে দুপুর ২টার দিকে বিমানবন্দর গোলচত্বরের সামনে এনা পরিবহনের একটি বাসে আগুন দিয়েছে শ্রমিকরা। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ঘটনাস্থলে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে।
নিপা গার্মেন্টসের মালিক খসরু চৌধুরী পুলিশের সহায়তায় ঘটনাস্থলে গিয়ে শ্রমিকদের আশ্বস্ত করার চেষ্টা করেন।
তিনি শ্রমিকদের উদ্দেশে বলেন, সরকারের নতুন মজুরি কাঠামো অনুযায়ী আপনাদের বেতন দেওয়া হবে তা গত কয়েকমাস ধরেই বলা হচ্ছে। আপনারা নতুন কাঠামোতেই বেতন পাবেন। তাই আন্দোলন না করে আপনারা কাজে ফিরে যান।
‘নতুন কাঠামোতে কেউ বেতন দিতে না পারলে গার্মেন্টস বন্ধ করে দেওয়া হবে। এক্ষেত্রে আপনাদের অগ্রিম এক মাসের বেতনও নিশ্চিত করা হবে। ’
ডিএমপির উত্তরা বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) নাবিদ কামাল শৈবাল বলেন, সরকারি বেতন-ভাতার জন্য শ্রমিকদের যে দাবি আমরা তার পক্ষে রয়েছি। তবে এ বিষয়কে কেন্দ্র করে কোনও জ্বালাও-পোড়াও করা হলে আমরা পক্ষে থাকবো না। শ্রমিকদের বলবো, আপনারা কাজে গিয়ে মালিকপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করেন, সমস্যা সমাধানে আমরা আপনাদের সহায়তা করবো। কিন্তু রাস্তা বন্ধ করে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করলে, জ্বালাও-পোড়াও করলে আমরা আপনাদের পক্ষে থাকবো না।
এর আগে সকালে দক্ষিণখানের চালাবন এলাকায় পুলিশের সঙ্গে শ্রমিকদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার পর উত্তরার মূল সড়কে অবস্থান নেন শ্রমিকরা।
পুলিশ সূত্র জানায়, বেতন-ভাতা পরিশোধের দাবিতে শ্রমিকরা প্রায় পুরো উত্তরা এলাকার সড়ক অবরোধ করে অবস্থান নিয়েছে। পুলিশ শ্রমিক ও মালিকপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা করছে।
এদিকে, রাজধানীর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এ সড়ক দীর্ঘ সময় যানচলাচল বন্ধ থাকায় পুরো সড়কে জটলা সৃষ্টি হয়েছে। ফলে ভোগান্তিতে পড়েছেন নগরবাসী।
রোববার (৬ জানুয়ারি) সকাল থেকে উত্তরার জসীমউদ্দীন, আজমপুর থেকে আব্দুল্লাহপুর পর্যন্ত বেশ কয়েকটি গার্মেন্টস শ্রমিকরা সড়কে অবস্থান নেন। পরে পুলিশ ও মালিকপক্ষের মধ্যস্থতায় দুপুর ২টার দিকে সড়ক থেকে সরে যান শ্রমিকরা।
শ্রমিকদের অভিযোগ, তাদের জন্য সরকার ঘোষিত নতুন বেতন কাঠামো নির্ধারণ করলেও মালিকপক্ষ তা দিচ্ছে না। এর দাবি জানালেও উল্টো হুমকি-ধমকি দেয় তারা।
** ফের বিমানবন্দর সড়কে পোশাক শ্রমিকরা
বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৭, ২০১৯
পিএম/আরবি/