সোমবার (০৭ জানুয়ারি) বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে বিদায়ী সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে এ সব কথা বলেন তোফায়েল আহমেদ।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী তার পছন্দমতো যোগ্যদের মন্ত্রিপরিষদে নিয়েছেন।
নতুন মন্ত্রিসভায় দায়িত্ব না পাওয়া তোফায়েল আহমেদ বলেন, আমি ’৭২ সালে ২৮ বছর বয়সে বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক সচিব পদে প্রথম প্রতিমন্ত্রী হিসেবে কাজ শুরু করি। এরপর ১৯৭৪ সালে বঙ্গবন্ধু রাষ্ট্রপতি হলে বিশেষ সহকারী ছিলাম। এরপর দীর্ঘ ২১ বছর সচিবালয়ে ঢুকিনি। ১৯৭৫ সালে ১১ জুলাই শেষ সচিবালয়ে ঢুকি। এরপর ১৯৯৬ সালে ২৪ জুন শিল্প ও বাণিজ্যমন্ত্রী ছিলাম। তার আগে নির্বাচনকালীন সরকারে শিল্প ও গৃহায়ন মন্ত্রী ছিলাম।
প্রবীণ এই রাজনীতিক আরো বলেন, আমরা যারা পুরনো— নতুনদের তো জায়গা দিতে হবে, একসময় তো যেতে হবে। তবে আমি খুশি বাণিজ্যমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করে। আমি এমপি আছি, থাকবো। এমপি থেকেই কাজ করে যাব। আমরা সবাই একটি পরিবারের মতো কাজ করেছি।
অনুষ্ঠানে বাণিজ্য সচিব মফিজুল ইসলাম বলেন, তোফায়েল আহমেদ জীবন্ত কিংবদন্তি নেতা। নেতা হিসেবে তার বড় সাফল্য বাংলাদেশের স্বাধীনতা। তিনি গত ৫ বছর সফলভাবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তার এ চলে যাওয়াটা চলে যাওয়া না। তার ভালোবাসা আমরা সবসময় পাব।
আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ৪৭ সদস্যের নতুন মন্ত্রিসভা সোমবার বিকেলে শপথ নিয়েছে। এবারের মন্ত্রিসভায় আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ ও মতিয়া চৌধুরীর মতো প্রবীণ আওয়ামী লীগ নেতাদের জায়গা হয়নি। সেই সঙ্গে মন্ত্রিসভায় ঠাঁই হয়নি রাশেদ খান মেনন, হাসানুল হক ইনু, আনোয়ার হোসেন মঞ্জুর মতো শরিক দলের সিনিয়র রাজনীতিকদের।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৭, ২০১৯
জিসিজি/এমজেএফ