রোববার (৬ জানুয়ারি) শিশুটি নিঁখোজ হওয়ার ঘটনায় সন্দেহভাজন চারজনকে আটক করে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ।
এদিকে দীপার বাবা বিনয় সমাদ্দার নিঁখোজ হওয়ার ঘটনায় গত সোমবার (৭ জানুয়ারি) সকালে অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে কোতোয়ালি মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।
দীপা বেঁচে থাকা না থাকা নিয়ে সংশয়ের মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন বাবা-মা। আর পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে দীপাকে উদ্ধারের জন্য তাদের অভিযান অব্যহত রয়েছে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কোতোয়ালি মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সাইদুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, অপহরণ ও মুক্তিপণের খবর জানার পর থেকেই পুলিশ অপহরণকারীদের আটক ও পুটিকে উদ্ধারের জন্য তৎপর রয়েছে। ইতোমধ্যে পুটির বাবার মোবাইল ৪০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবিকারীদের মধ্যে চারজনকে আটক করা হয়েছে। এরা হলেন- নগরের কলেজ রো এলাকার মো. রাসেল, তার ভাই সজীব এবং একই এলাকার মো. ফারুক ও আসাদুল হক। পুটি অপহরণের পর পুটির বাবার মোবাইলে ৪০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবির কথা স্বীকার করলেও অপহরণের কথা স্বীকার করেনি আটকরা।
পুটি নিখোঁজ হওয়ার খবর মাইকে শুনে আটকরা লোভে পরে মুক্তিপণ দাবি করেছিল জানিয়েছেন তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই সাইদুল বলেন, ওই চারজনকে অধিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ডের আবেদন করা হবে।
এদিকে ঘটনার ছয়দিন অতিবাহিত হলেও পুটিকে না পেয়ে এক প্রকার নির্বাক হয়ে পরেছেন তার মা-বাবা। পুটির বাবা নগরের কাউনিয়া এলাকার একটি মিষ্টির দোকানের কর্মচারী বিনয় সমাদ্দার বলেন, মেয়ে আমার কেমন আছে, কোথায় আছে, কি করছে, কিছুই জানতে এখনো পারেননি।
বাড়ির মালিক ও ব্যাংক কর্মকর্তা সেলিম আহমেদ বলেন, ঘটনার পর থেকে পুটির বাবা মা কেমন যেনো বাকরুদ্ধ হয়ে পরেছেন। মেয়ে না পেয়ে পুটির মা চায়না সমদ্দার কিছুটা এলামেলো কথা বলছেন।
উল্লেখ্য গত রোববার (৬ জানুয়ারি) সকাল ১০টার দিকে শিশু দীপা ঘরের সামনেই খেলা করছিল। এর কিছুক্ষণ পর থেকেই তাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিলো না। প্রতিবেশিসহ নিকট আত্মীয় স্বজনদের কাছে খোঁজ খবর ও এলাকায় মাইকিং করেও দীপার সন্ধান না পেয়ে নিখোঁজ হওয়ার বিষয়টি থানা পুলিশকে অবহিত করা হয়।
৬ জানুয়ারি দুপুরের দিকে একটি অপরিচিত নম্বর থেকে তার স্বামীর (বিনয় সমাদ্দার) নম্বরে কল আসে। অপর প্রান্তে থাকা ব্যক্তির নিজের নাম-পরিচয় গোপন রেখে মেয়েকে ফিরে পেতে ৪০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। এ সময় টাকা না পেলে পুটিকে হত্যার ও হুমকি দেওয়া হয়।
বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের সহকারী-কমিশনার নাছির উদ্দিন মল্লিক বলেন, অপহরণ এবং মুক্তিপণের বিষয়টি কোতোয়ালি মডেল থানার পুলিশ জানার সঙ্গে সঙ্গে শিশুটিকে উদ্ধারের জন্য বিভিন্ন ক্লু ধরে নগরের বিভিন্নস্থানে অভিযান চালায়। যা এখনো অব্যহত রয়েছে। শিশুটিকে উদ্ধারে জোড়ালো ভাবেই অভিযান চলছে।
বাংলাদেশ সময়: ০৯৫০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১২, ২০১৯
এমএস/আরআইএস/