শনিবার (১২ জানুয়ারি) সকাল ৭টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত এক হাজার ৩৮৩ জন বন্দিকে নতুন কারাগারে স্থানান্তর করা হয়। এরমধ্যে, পুরুষ এক হাজার ৩৫১ জন ও নারী বন্দি রয়েছেন ৩২ জন।
আটটি প্রিজন ভ্যানে করে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থার মধ্য দিয়ে পুরাতন কারাগার থেকে বন্দিদের নতুন কারাগারে নেওয়া হয়।
১৯৪৮ সালে শহরের গাইটাল বটতলা এলাকায় মহকুমা কারাগারের যাত্রা শুরু হয়। বৃটিশ আমলে নির্মিত পুরনো কারাগারটি অনেকটাই ছিলো ঝুঁকিপূর্ণ। তাছাড়া এখানে স্থান সংকুলান না হওয়ায় কয়েকগুণ বন্দিকে অনেক কষ্ট করে থাকতে হতো। পুরাতন কারাগারে ২৪৫ জন বন্দির স্থলে প্রায়ই হাজারেরও বেশি বন্দিকে রাখা হতো।
৭০ বছর পর শহরতলীর খিলপাড়া এলাকায় স্থানান্তরিত হলো কিশোরগঞ্জ জেলা কারাগার। জেলা শহর থেকে প্রায় তিন কিলোমিটার দূরে সদর উপজেলার মারিয়া ইউনিয়নের খিলপাড়া এলাকায় ৩০ একর জমির ওপর নতুন কারাগারটি প্রতিষ্ঠা করা হয়। এটি নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ৬৮ কোটি ৪৬ লাখ টাকা। দুই হাজার বন্দির ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন নতুন কারাগারটিতে আধুনিক সব সুযোগ সুবিধা রয়েছে। তবে নবনির্মিত কারাগারটি কিশোরগঞ্জ জেলা কারাগার-১ এবং পুরাতন কারাগারটি কিশোরগঞ্জ জেলা কারাগার-২ হিসেবে কার্যক্রম পরিচালনা করবে।
কারাগারের সুপার মো. বজলুর রশীদ বাংলানিউজকে জানান, নতুন কারাগারটিতে এক হাজার ৫০০ পুরুষ ও ৫০০ নারী বন্দি থাকতে পারবেন। নতুন কারা হাসপাতালে ২৪ জন পুরুষ ও চারজন নারী থাকতে পারবেন। তাছাড়া এখানে ১৪ জন ডিভিশনপ্রাপ্ত বন্দিও থাকতে পারবেন। এ কারাগারে ফাঁসির মঞ্চসহ রয়েছে বিভিন্ন সেল।
পুলিশ সুপার (এসপি) মো. মাশরুকুর রহমান খালেদ বাংলানিউজকে জানান, বন্দি স্থানান্তরে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়। রাস্তার বিভিন্ন মোড়ে পুলিশ মোতায়েন ছাড়াও নানা পদক্ষেপ নেওয়া হয়।
জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো. সারওয়ার মুর্শেদ চৌধুরী বাংলানিউজকে জানান, নতুন কারাগারে বন্দিরা বিভিন্ন ধরনের খেলাধুলা করতে পারবে। তারা বই পড়তে পারবে এবং লেখালেখিও করতে পারবে। সংশোধনাগার হিসেবেও ব্যবহৃত হবে কারাগারটি।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১২, ২০১৯
এনটি