রোববার (১৩ জানুয়ারি) বছরের প্রথম জেলা আইন-শৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভায় তিনি এ কথা জানান।
মেয়র বলেন, বর্তমানে খুলনার মূল সমস্যা যানজটের পেছনে রয়েছে অবৈধ মাহেন্দ্র, ব্যাটারিচালিত অটোরিশা এবং ইজিবাইক।
সভায় উপস্থিত খুলনা-২ আসনে নবনির্বাচিত সংসদ সদস্য শেখ সালাহউদ্দিন জুয়েল বলেন, আমার নির্বাচনী ইশতেহারে মাদক, ভূমিদখল, চাঁদাবাজ এবং ভেজাল খাদ্যদ্রব্যের ব্যাপারে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করেছিলাম। আমি সবার সহযোগিতায় এই ইশতেহার বাস্তবায়ন করবো।
খুলনার প্রতি প্রধানমন্ত্রীর অত্যন্ত ইতিবাচক মনোভাব রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, খুলনার উন্নয়নের জন্য পাঁচ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ আনা হবে এবং একটি মাস্টার প্লানের মাধ্যমে তা বাস্তবায়ন করা হবে।
খুলনা জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ হেলাল হোসেনের সভাপত্বিতে তার সম্মেলন কক্ষে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।
কেএমপি কমিশনার (ভারপ্রাপ্ত) সরদার রকিবুল ইসলাম বলেন, পুলিশের কোনো সদস্য মাদকের পয়সা গ্রহণ করবে না। মাদক নিয়ে নিরীহ লোককে হয়রানি করা হবে না। স্কুল-কলেজের সামনে কোনো বিড়ি সিগারেটের দোকান এক সপ্তাহের মধ্যে উচ্ছেদ করা হবে। মাদক ও ভূমিদস্যুদের জন্য তদবিরকারীদের নামে তালিকা প্রকাশ করা হবে।
সভায় আরও বক্তৃতা করেন জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শেখ হারুনুর রশীদ, বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের পরিচালক শেখ সোহেল এবং পুলিশ সুপার এস এম শফিউল্লাহ প্রমুখ।
খুলনা জেলার নয়টি উপজেলায় গত ডিসেম্বর মাসে চুরি একটি, খুন একটি, ধর্ষণ একটি, অপহরণ দুইটি, নারী ও শিশু নির্যাতন পাঁচটি, মাদকদ্রব্য ৬৬টি এবং অন্যান্য ৫৫টিসহ মোট ১২৯টি মামলা দায়ের হয়েছে। গত নভেম্বর মাসে এ সংখ্যা ছিল ১৯৪টি। মহানগরীর আটটি থানায় ডিসেম্বর মাসে চুরি পাঁচটি, খুন তিনটি, ধর্ষণ পাঁচটি, নারী ও শিশু নির্যাতন আটটি, মাদকদ্রব্য ১০৩টি এবং অন্যান্য আইনে ২৫টিসহ মোট ১৪৯টি মামলা দায়ের হয়েছে। গত নভেম্বর মাসে এ সংখ্যা ছিলো ২১৯টি।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৩, ২০১৯
এমআরএম/এএটি