তিনি বলেছেন, গত দুই টার্মে সরকারের নেওয়া মেজর প্রজেক্টগুলো এই সরকারে আগামী পাঁচ বছরে সম্পন্ন করাই সরকারের লক্ষ্য। আমরা দেশকে অগ্রগতির পথে যতটুক এগিয়েছি, এখান থেকে পেছনে যাওয়ার সুযোগ নেই।
রোববার (১৩ জানুয়ারি) ঢাকা সেনানিবাসে সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন। পরে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
বিগত সরকারের সভায় দারিদ্র্যের হার কমিয়ে ২১.৪ শতাংশে নামিয়ে আনার কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আগামী দিনগুলোতে আমরা আরও ৫ শতাংশ দারিদ্র্য কমিয়ে আনবো।
একটা দেশের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা খুবই গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের পররাষ্ট্র নীতি সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব কারো সঙ্গে বৈরীতা নয়। আমরা যুদ্ধ চাই না, শান্তি চাই। কিন্তু যদি আক্রান্ত হই তবে আমাদের দেশকে রক্ষা করার জন্য সব সময় প্রস্তুত থাকতে হবে।
বিশ্ব শান্তি রক্ষায় বাংলাদেশের শান্তিরক্ষীদের অবদানের প্রশংসা করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, গণতন্ত্রের ধারাবাহিকতায় সরকার উন্নয়নের পথে দেশকে এগিয়ে নেওয়ার সুযোগ পেয়েছে। আমরা চাই দেশের সার্বিক উন্নয়নে সশস্ত্র বাহিনীও অংশগ্রহণ করুক।
এ সময় প্রধানমন্ত্রীর প্রতিরক্ষা বিষয়ক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিক, সেনা বাহিনী প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ, নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল এম নিজাম উদ্দিন আহমদ, বিমান বাহিনী প্রধান মার্শাল মশিহুজ্জামান সেরনিয়াবাত এবং সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. মাহফুজুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে সকালে স্বাধীনতা যুদ্ধে জীবনদানকারী সশস্ত্র বাহিনীর শহীদ সদস্যদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঢাকা সেনানিবাসের শিখা অনির্বাণে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। প্রধানমন্ত্রী শিখা অনির্বাণে এসে পৌঁছালে তাকে স্বাগত জানান তিন বাহিনীর প্রধানরা ও সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার।
এ সময় সশস্ত্র বাহিনীর একটি চৌকস দল তাকে গার্ড অব অনার প্রদান করেন। পুষ্পস্তবক অর্পণের পর শিখা অনির্বাণে রক্ষিত পরিদর্শন বইয়ে স্বাক্ষর করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ সময় সশস্ত্র বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৩, ২০১৯
এমইউএম/এমএ