সোমবার (১৪ জানুয়ারি) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সাংবাদিক নেতাকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান বলেন, আমাদের দেশে হাজার হাজার অনলাইন মিডিয়া।
‘এ লক্ষ্যে আমার পূর্বসূরি হাসানুল হক ইনু ভাই অনেক কাজ এগিয়ে নিয়ে গেছেন। সেই সূত্র ধরে আপনাদের (সাংবাদিক) সঙ্গে নিয়েই আমি কাজটা আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই। এটি একটি নিয়ম নীতির মধ্যে আনা প্রয়োজন। ’
বিগত ১০ বছরে মিডিয়ায় ঘটেছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, আজকে মিডিয়াতে একটা বিপ্লব ঘটে গেছে। প্রথমত অনলাইন মিডিয়া; আরেকটা হচ্ছে স্যোশাল মিডিয়া। পুরো ক্যানভাসটাকে চেঞ্জ করে দিয়েছে। ১০ বছর আগের ক্যানভাস আর আজকের ক্যানভাসের মধ্যে ব্যাপক পরিবর্তন হয়ে ঘটেছে। একজন মানুষ তার ইচ্ছা অনুভূতি বক্তব্য কোনো সংবাদ মাধ্যমের সাহায্য ছাড়াই স্যোশাল মিডিয়ায় প্রকাশ করতে পারে এবং সেখানে লাখ লাখ ভিউ হয়। এতে দেখা যায় সমাজে অনেক সময় অস্থিরতা সৃষ্টি হয়। স্যোশাল মিডিয়া অবশ্যই আমাদের জন্য কল্যাণকর। তবে এর অকল্যাণকর দিকও আছে এবং সেগুলো ইতোমধ্যে আমরা চিহ্নিত করেছি। সেগুলো মোকাবেলার জন্য আপনাদের সবাইকে এক সঙ্গে নিয়েই কাজ করতে হবে।
আওয়ামী লীগের ইশতেহারের কথা উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, গণমাধ্যমের কল্যাণে বিভিন্ন বিষয় আমাদের ইশতেহারে নিয়ে এসেছি। যেমন সাংবাদিকদের আবাসনের ব্যাপার। এছাড়া প্রেসক্লাবের একটি ৩১ তলা ভবন, বঙ্গবন্ধুর মিডিয়া কর্নারের কাজটা শুরু করার জন্য চেষ্টা করা প্রয়োজন। কেননা এটি আমার দায়িত্বের মধ্যে পড়ে।
সাংবাদিকদের নবম ওয়েজ বোর্ড প্রসঙ্গে তিনি বলেন, নবম ওয়েজ বোর্ড নিয়ে একটু আগে কথা বলেছি। ২৮ (জানুয়ারি) তারিখের মধ্যে গেজেট হওয়া প্রয়োজন। এ লক্ষ্যে আপনাদের এখান থেকে আমি মন্ত্রণালয়ে যাবো। আলাপ-আলোচনা করবো কী করা যায়।
‘আর আমি ব্যক্তিগতভাবে যেটি মনে করি, যখন ওয়েজবোর্ডের শুরু হয় তখন ইলেকট্রনিক মিডিয়া ছিল না। এজন্য এটা অন্তর্ভুক্ত হয়নি। কিন্তু আজকের বাস্তবতায় তো ইলেকট্রনিক মিডিয়া আছে। সুতরাং আমি মনে করি এটাও ওয়েজ বোর্ডের মধ্যে আসা প্রয়োজন। এই নবম ওয়েজবোর্ড যেহেতু অনেক দূর এগিয়ে গেছে, সেহেতু এটার মধ্যে হয়তো সম্ভব হবে না। তবে পরবর্তীতে এটাকে কিভাবে ইনক্লুড করা যায় তা আলাপ-আলোচনা করবো। ’
গণমাধ্যমকর্মী আইন প্রসঙ্গে তথ্যমন্ত্রী বলেন, এটি মন্ত্রণালয়ে আছে, আমি সকালে খবর নিয়েছি। আইন মন্ত্রণালয়ে আছে। এ বিষয়ে আরেকটি বৈঠক হতে হবে। তিন মন্ত্রণালয়ের সমন্বয়ে একটি বৈঠক হওয়ার পর সেটি এগোবে। সুতরাং এই কাজগুলো প্রায়োরিটি হিসেবে আমি ইতোমধ্যে চিহ্নিত করেছি।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, তথ্য মন্ত্রণালয় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও স্পর্শকাতর। সবকিছুতেই অনেক চ্যালেঞ্জ থাকে। চ্যালেঞ্জ ছাড়া কোনো কিছু নেই। মানুষকে চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করেই এগোতে হয়। আর এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় আপনাদের সহযোগিতা প্রয়োজন।
সভায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি সাইফুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক ফরিদা ইয়াসমিন, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি মোল্লা জালাল, মহাসচিব শাবান মাহমুদ, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক সোহেল হায়দার চৌধুরীসহ সাংবাদিক নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের পক্ষ থেকে নতুন তথ্যমন্ত্রীকে ফুলেল শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানানো হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৫০৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৪, ২০১৯
এইচএমএস/এমএ