পল্লী বিদ্যুতের লাইন নির্মাণে খুঁটির টানা তারে ত্রুটি রয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন স্থানীয়রা।
সোমবার (১৪ জানুয়ারি) রাত সাড়ে ৮টার দিকে মরদেহ দু’টি উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা।
উপজেলার পদুয়া গ্রামের হাজী বাড়ির আলী আহমদের ছেলে সালাউদ্দিন ও তার ছেলে সৌরভ। সৌরভ স্থানীয় করমবক্স আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ে সপ্তম শ্রেণির ছাত্র।
স্থানীয়রা বাংলানিউজকে জানায়, বিকেলে স্থানীয় একটি বোরো ক্ষেতে নিজেদের সেচপাম্প দিয়ে পানি সেচ দিচ্ছিলেন সালাউদ্দিন। এসময় তার স্কুলপড়ুয়া ছেলে সৌরভ তাকে সহযোগিতা করতে সেখানে যায়। সন্ধ্যায় সেচ দেওয়া শেষে বাড়ি ফেরার আগে সৌরভ পায়ের কাঁদা ধোঁয়ার জন্য পাশের একটি পুকুর পাড়ে যায়।
এসময় সে পুকুরের পাড়ে পুঁতে রাখা বৈদ্যুতিক খুঁটির টানা তার ধরে নিচের দিকে ঝুলে পা ধোঁয়ার সময় তারটি বিদ্যুৎ লাইনের উপরে থাকা মূল তারের সঙ্গে লেগে বিদ্যুতায়িত হয়। এতে ঘটনাস্থলেই সৌরভ মারা যায়। এসময় কাছাকাছি থাকা বাবা সালাউদ্দিন ছেলেকে উদ্ধার করতে গিয়ে নিজেও বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে পুকুরের পানিতে পড়ে মারা যান।
স্থানীয় একাধিক বাসিন্দার অভিযোগ, বাবা-ছেলেকে পানির মধ্যে পড়ে থাকতে দেখে বিদ্যুৎ লাইনটি বন্ধ করতে পল্লী বিদ্যুতের কবিরহাট অফিস ও নোয়াখালী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির মহাব্যবস্থাপক শংকর লাল দত্তকে একাধিকবার ফোন করে ঘটনাস্থলে আসার জন্য অনুরোধ জানানো হলেও তারা আসেনি।
এসময় আশপাশের লোকজন, পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে এলেও ভয়ে মরদেহ উদ্ধারে পুকুরে নামতে পারেনি। ফলে ঘণ্টার পর ঘণ্টা মরদেহ দু’টি পুকুরেই পড়েছিল। পরে রাত সাড়ে ৮টার দিকে জেলা শহর থেকে আসা ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা বিদ্যুৎ অফিসে কথা বলে নিশ্চিত হয়ে মরদেহ উদ্ধার করেন। এরপর রাত পৌনে ৯টার দিকে পল্লী বিদ্যুতের কবিরহাট আঞ্চলিক কার্যালয়ের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে আসেন।
লাইন নির্মাণে কোনও ধরনের ত্রুটি ছিল না দাবি করে নোয়াখালী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির মহাব্যবস্থাপক শংকর লাল দত্ত বাংলানিউজকে বলেন, মোবাইল ফোনে খবর পাওয়া মাত্র কবিরহাট অফিসের লোকজনকে ঘটনাস্থলে যাওয়ার জন্য বলা হয়। টানা তার ধরে ঝুলার কারণে ওই তার গিয়ে বিদ্যুতের মূল তারের সঙ্গে লেগে গেলে এ দুর্ঘটনা ঘটে। বিষয়টি তদন্ত করা হবে। তদন্তে কারো কাজে কোনও গাফিলতি পেলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ০০৫০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৫, ২০১৯
আরবি/