রেগুলেটর দু’টি বিকল হয়ে বেশিরভাগ গেট বন্ধ ছিল বিধায় নদী থেকে পানি খালে প্রবেশ করতে পারছিল না; রোপণ করা যাচ্ছিলা না ধানের চারা। এতে হাজার-হাজার কৃষক বিপাকে পড়েন।
মঙ্গলবার (১৫ জানুয়ারি) দুপুরে ঘটনাস্থলে দিয়ে দেখা যায়, লক্ষ্মীপুর পানি উন্নয়ন বোর্ড রেগুলেটরের সংস্কার করছে। এটি মেরামতের খবর পেয়ে আশপাশের কৃষকরা উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, রেগুলেটর দু’টি ঠিকঠাক হলে ২৮টি গেট দিয়ে পানি রহমতখালী খাল হয়ে বিভিন্ন খালে প্রবেশ করবে। এতে পানি পৌঁছে যাবে কৃষকদের জমিতে, নির্বিঘ্নে করা যাবে বোরো আবাদ।
মজুচৌধুরীরহাটে নেভিগেশন লকসহ ১৪ ভেন্টের দু’টি রেগুলেটরে ২৮টি গেট রয়েছে। মূল রেগুলেটরের ১৪ গেটের মধ্যে দু’টি ছাড়া বাকি ১২টি একবছরেরও বেশি সময় ধরে বিকল হয়ে বন্ধ আছে। পুরনো রেগুলেটরে ১৪টি গেটই বন্ধ। এর মধ্যে তিনটি ভেঙে গেছে। জোয়ারের সময় গেট খুলতে না পারার কারণে রহমতখালী খালে পানি ঢুকতে পারে না। আবার ভাঙ্গা গেট দিয়ে কিছু পানি প্রবেশ করলেও ভাটার টানে ফের নদীতে চলে যায়। এমন পরিস্থিতিতে ভরা মৌসুমেও পানির অভাবে জমিতে লাঙল চালাতে পারছিলেন না কৃষকরা।
তবে রেগুলেটর সচল হলে লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার টুমচর, কালির চর, চর উভুতি, ভবানীগঞ্জ, জকসিন, মিরিকপুর, উত্তর জয়পুর, দত্তপাড়া, তেওয়ারীগঞ্জ, কুশাখালীসহ জেলার পূর্বাঞ্চল এবং কমলনগর উপজেলার পশ্চিমাঞ্চলের বেশিরভাগ কৃষকের পানির অভাব দূর হবে। হাসি ফুটবে কৃষকের মুখে।
উত্তর লরেন্স কৃষি উন্নয়ন সমিতির সভাপতি ও সেচ মালিক আবদুল গণি বাংলানিউজকে বলেন, বোরো আবাদে পানি না পেয়ে আমরা হতাশ ছিলাম। রেগুলেটর মেরামতের খবর পেয়েছি। মেরামত হলে পানির অভাব মিটবে।
লক্ষ্মীপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মাজহারুল ইসলাম বলেন, রেগুলেটরের গেট সংস্কারের কাজ চলছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে কৃষকরা পর্যাপ্ত পানি পাবে। বোরো আবাদে কৃষকদের সমস্যায় পড়তে হবে না।
বাংলাদেশ সময়: ২১৩২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৫, ২০১৯
এসআর/এইচএ/