মঙ্গলবার (১৫ জানুয়ারি) রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দিনগত রাত ১টার দিকে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন আমানুল্লাহ কবীর।
বুধবার (১৬ জানুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টায় শেষ শ্রদ্ধা জানাতে তার মরদেহ নিয়ে আসা হয় জাতীয় প্রেসক্লাবে।
জানাজার আগে আমানুল্লাহ কবীরকে স্মরণ করে বক্তব্য রাখেন সাংবাদিক নেতারা। জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি সাইফুল আলম বলেন, আমরা আমাদের অভিভাবক ও বন্ধুকে হারিয়েছি। নিজের দিকে না তাকিয়ে সমষ্টির জন্য অনেক কঠিন সিদ্ধান্ত মেনে নিয়েছিলেন আমানুল্লাহ কবীর। কবীর ভাইয়ের এই শিক্ষা গ্রহণ করা উচিত।
জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ফরিদা ইয়াসমিন বলেন, কবীর ভাই আমাদের দীর্ঘদিনের সদস্য ছিলেন। আমরা তাকে হারিয়ে দীর্ঘদিন তার অভাব অনুভব করবো। মানুষ হিসেবে তিনি রাগ করতেন না এবং শান্তভাবে সমালোচনা গ্রহণ করতেন। সিনিয়রদের সঙ্গে যেভাবে মিশতেন সেভাবেই জুনিয়রদের নিজের সঙ্গে মেশার সুযোগ দিতেন। তিনি তার কাজের মাধ্যমে আমাদের মাঝে বেঁচে থাকবেন।
আমানুল্লাহ কবীরের প্রতি স্মৃতিচারণ করে তার দীর্ঘদিনের সহকর্মী সাইফ ইসলাম দিলাল বলেন, কবীর ভাই খুব শান্ত স্বভাবের মানুষ ছিলেন। কখনো রাগ করতেন না। দীর্ঘ জীবনে সাংবাদিকতার পাশাপাশি সাংবাদিকদের অধিকার আদায়ের জন্য তিনি কাজ করেছেন।
জানাজা শেষে জাতীয় প্রেসক্লাব বিএফইউজে-ডিইউজে, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি), ফটো জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনসহ সাংবাদিক সংগঠনের পক্ষ থেকে তার মরদেহের প্রতি ফুল দিয়ে শেষ শ্রদ্ধা জানানো হয়।
আমানুল্লাহ কবীরের মরদেহ প্রেসক্লাব থেকে নিয়ে যাওয়া হবে জামালপুরে তার নিজ গ্রামের বাড়িতে। সেখানেই শায়িত হবেন প্রবীণ ও জ্যেষ্ঠ এ সংবাদকর্মী।
বাংলাদেশ সময়: ১২৫০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৬, ২০১৯
এসএইচএস/এএ