চলমান খাদ্যে ভেজালবিরোধী অভিযানের অংশ হিসেবে বুধবার (১৬ জানুয়ারি) ডিএসসিসির ভ্রাম্যমাণ আদালত চারটি অঞ্চলে বিভিন্ন রেস্টুরেন্টে কর্মরতদের এ কারাদণ্ড দেওয়া হয়। পাশাপাশি অর্থদণ্ডও দেওয়া হয়।
অভিযানের বিষয়ে ডিএসসিসির নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাসুদ রানা বাংলানিউজকে বলেন, বেশিরভাগ হোটেল, রেস্টুরেন্টেরই রান্নাঘর স্বাস্থ্যসম্মত ছিল না। অনেক জায়গায় স্যাঁতস্যাঁতে পরিবেশ ও জীবাণুযুক্ত পরিবেশ দেখা গেছে। অনেক রেস্টুরেন্ট পুরনো রান্না করা মাংস ফ্রিজে রেখে ভোক্তাদের খাওয়াচ্ছে। এছাড়া একই ফ্রিজে মাছ, মাংস, সবজি ও অন্য পণ্য রাখায় খাবারের গুণগত মান নষ্ট হয়েছে। অপরাধের ধরন অনুযায়ী বিভিন্ন মেয়াদে শাস্তি ও জরিমানা আদায় করা হয়।
ডিএসসিসির অভিযানে বুধবার (১৬ জানুয়ারি) অঞ্চল-১ এর আওতাধীন গুলিস্তানের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৭ জনকে কারাদণ্ড ও ১ লাখ ২০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। মা ফাতেমা বাগদাদ হোটেলের সাজাহানকে ৩ দিন, রহিম হোটেলের রুস্তমকে ৩ দিন বিসমিল্লাহ হোটেলের মো. শাহজানকে ১ দিন, সরকারি পরিবহন পুল ক্যান্টিনের আব্দুল সাত্তারকে ১ দিন এবং ফুটপাথে শরবৎ বিক্রেতা ফয়সাল, ছমির ও রাজুকে ১ দিন করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এছাড়া দরবার এ মোগল রেস্টুরেন্টকে ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
অঞ্চল-৩ এর আওতাধীন পোস্তা ও ইসলামবাগ এলাকায় পরিচালিত অভিযানে হোটেল ইসলামীয়াকে দশ হাজার, শরীফ হোটেলকে দশ হাজার ঢাকেশ্বরী রেস্তোরাঁকে দশ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এছাড়া মদিনা সুইটস, হক কনফেকশনারি ও বিসমিল্লা বিরিয়ানিকে সতর্ক করা হয়েছে।
অঞ্চল-৪ এর আওতাধীন কাজী আলাউদ্দিন রোড এলাকায় তায়েভাত হোটেলের মো. সুজন এবং মো. সানাউল্লাকে ১৫ দিন করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এছাড়া গাউসিয়া হোটেল ও হাজি বিরিয়ানিকে ৫ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়। হোটেল আল নাসির এবং হানিফ বিরিয়ানিকে সতর্ক করা হয়েছে।
এছাড়া অঞ্চল-৫ এর আওতাধীন ধোলাইরপাড় এলাকায় পরিচালিত অভিযানে সাহ্যাই চায়নিজ রেস্টুরেন্টকে ৩০ হাজার, আদি বনফুল মিষ্টান্ন ভাণ্ডারকে ৩০ হাজার ও নিউ শর্মা হাউজকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৬, ২০১৯
এসএম/এএ