ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

বাংলাদেশি দূতাবাস ২৪ ঘণ্টা খোলা রাখার আহ্বান মন্ত্রীর

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৫২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৯, ২০১৯
বাংলাদেশি দূতাবাস ২৪ ঘণ্টা খোলা রাখার আহ্বান মন্ত্রীর ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির ছায়া সংসদে উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: বিদেশে বাংলাদেশি দূতাবাসগুলো শ্রমিকবান্ধব হতে হবে ও সেগুলো ২৪ ঘণ্টায় খোলা রাখার পরামর্শ দিয়েছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।

শনিবার (১৯ জানুয়ারি)জাতীয় চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশনে (বিএফডিসি) ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির আয়োজনে ইউসিবি পাবলিক পার্লামেন্ট শিরোনামে এক ছায়া সংসদে বিতর্ক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিকল্পনামন্ত্রী এ নির্দেশনা দেন।

এম এ মান্নান বলেন, আমি জানি বিদেশে আমার শ্রমিকেরা খুব সহজে দূতাবাসের সহায়তা পান না। এটা বন্ধ হতে হবে। আমি বলছি, দূতাবাসগুলো ২৪ ঘণ্টা খোলা রাখতে হবে।  শ্রমিকবান্ধব কর্মকর্তাদের দূতাবাসে নিয়োগ দিতে হবে। শ্রমবাজার ও রফতানি উন্নয়নে প্রধান ভূমিকাও পালন করতে হবে দূতাবাসগুলোকে

মন্ত্রী আরও বলেন, সৌদি আরবে আমার নারী কর্মীরা নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন। এটা খুবই অমানবিক, এই বিষয়ে শুনলেও চরম খারাপ লাগে। তাই সৌদি আরবে নারী কর্মী পাঠানোর বিষয়ে আরও ভাববার সময় এসেছে। তবে আমাদের বৈদেশিক শ্রমিকবান্ধব প্রধানমন্ত্রী এই বিষয়ে পদক্ষেপ নেবেন। পৃথিবীর একটাই দেশে আমার শ্রমিক মা-বোনদের নির্যাতন করা হয়।    

পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, যমুনা নদীর বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে টানেল নির্মাণের পরিকল্পনা চলছে। আমরা দ্বিতীয় পদ্মাসেতুর কাজও করবো। আমরা কোথায় ছিলাম, এখন বঙ্গবন্ধুকন্যার হাতের ছোঁয়ায় কোথায় এসেছি ভাবতে অবাক লাগে। ২০ বছর আগে কল্পনাও করতে পারিনি আমরা পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করতে পারবো। অথচ এক সময়ের স্বপ্ন প্রধানমন্ত্রী বাস্তবে রূপ দিয়েছেন। তাই সবাইকে বলবো আসুন আওয়ামী লীগ সরকারের মানবিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত করি।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ।

তিনি বলেন, তৈরি পোশাক, চামড়া, ওষুধশিল্প ইত্যাদি খাতের মতো বড় কোনো বিনিয়োগ ছাড়াই অভিবাসন খাত থেকে প্রতিবছর ১৩ থেকে ১৪ বিলিয়ন ডলার বৈদেশিক আয় হচ্ছে। যা জিডিপিতে ৭ দশমিক ২৪ শতাংশ অবদান রাখছে। ২০১৭ সালে প্রায় সোয়া ১০ লাখ কর্মী বিদেশে পাঠাতে সক্ষম হয়েছে। ২০১৮ সালে ৭ লাখ কর্মী বিদেশে গেছে। চলতি বছরে ১২ লাখ কর্মী বিদেশে যাওয়ার প্রত্যাশা করছি।

বৈদেশিক কর্মসংস্থান বাংলাদেশের টেকসই উন্নয়ন ত্বরান্বিত করতে পারে শীর্ষক ছায়া সংসদ বিতর্ক প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস অ্যান্ড টেকনোলজি এবং ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটি অংশ গ্রহণ করে।      

বাংলাদেশ সময়: ১৩৪০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৯, ২০১৯
এমআইএস/এএটি 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।