তিনি বলেন, রেলের উন্নয়নের জন্য নিরাপদ, সাশ্রয়ী, আরামদায়ক ও সেবামূলক খাতে জোর দেওয়া হবে।
এছাড়া প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত মাস্টারপ্লান বাস্তবায়ন ও সে অনুযায়ী দেশের প্রতি জেলায় রেল স্থাপনের জন্য কাজ করে যাওয়ার আশা প্রকাশ করেন তিনি।
রোববার (২০ জানুয়ারি) রেল ভবনের সম্মেলন কক্ষে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা জানান। এ সময় রেলের সচিব মোফাজুল হোসেন, অতিরিক্ত সচিব মজিবুর রহমান, প্লানিং অফিসার জাহাঙ্গীর হোসেন, এ ডি জি আর এইচ সামসুর জামানসহ অন্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
নুরুল ইসলাম বলেন, সারাবিশ্বে রেলের উন্নয়ন খুব দ্রুত হচ্ছে। আমরাও পিছিয়ে থাকবো না। এজন্য প্রধানমন্ত্রীর ১০টি মেগা প্রকল্পের মধ্যে রেলের দু’টি প্রকল্প রয়েছে। রেল এখন ভারতের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে। এখাতে পুনর্বাসন করা হচ্ছে। থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া, মিয়ানমার ও চীনের সঙ্গে যুক্ত হয়ে ট্রান্স এশিয়ার সঙ্গে যুক্ত হওয়ার পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে।
তিনি বলেন, রেল এখন পর্যন্ত লাভজনক প্রতিষ্ঠানে পৌঁছাতে পারেনি। তবে গত ১০ বছরে রেলখাত কিছু হলেও মানুষের আস্থার জায়গায় যেতে পেরেছে। আমাদের ব্যর্থ হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। আমরা সফল হবোই। আমি জনগণের প্রতিনিধি, জবাবদিহি করতে বাধ্য। প্রধানমন্ত্রীর ভিশনের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে কাজ করবো। এজন্য বুলেট ট্রেন, স্টেশনের উন্নয়ন, টিকিট কালোবাজারি বন্ধ, দক্ষজনবল নিয়োগ এবং মনিটরিং ব্যবস্থায় বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হবে।
টিকিট কালোবাজারি নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে রেলমন্ত্রী বলেন, টিকিট কালোবাজারি বন্ধ করতে এখন থেকে টিকিট কিনতে এনআইডি নম্বর বা কার্ড ইস্যুর ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে। এই একটি সেবার জন্য এখাতের বদনাম হচ্ছে। এছাড়া টিকিট বিক্রির ক্ষেত্রে যে জেলায় যে টিকিট বরাদ্দ দেওয়া আছে তা যেন বজায় থাকে।
রেলকে সার্বজনীন করতে কাজ করা হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, মানুষের সেবা করার জন্য প্রধানমন্ত্রী আগামী ৫ বছরের দায়িত্ব দিয়েছেন। রেলের সেবার মান বৃদ্ধি কার জন্য যা কিছু করার দরকার করবো। গত ১০ বছরে রেল এগিয়েছে। তবে কাঙ্ক্ষিত স্থানে যেতে পারেনি। কিছু সংখ্যক লোক এখাতের বদনাম করছে। আশা করছি রেলকে আরো বেশি আস্থা ও বিশ্বাসের জায়গায় নিয়ে যেতে পারবো।
জনবল নিয়োগের বিষয়ে তিনি বলেন, হাইকোর্টের মামলার কারণে নিয়োগ প্রক্রিয়ার সমস্যা হচ্ছে। পূর্বাঞ্চলের জন্য ৮৬ জন স্টেশন মাস্টার, আর দক্ষিণাঞ্চলের জন্য ৪৩ জন মাস্টার নিয়োগ দেওয়া হবে শিগরগিই।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২০, ২০১৯
জিসিজি/জেডএস