শান্তা আক্তার খিলগাঁওয়ের একটি স্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্রী ছিল।
রোববার (২০ জানুয়ারি) সন্ধ্যার দিকে শাজাহানপুর বাগিচা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহতের ভাই শাকিল বাংলানিউজকে বলেন, শাজাহানপুর বাগিচা এলাকার ঝিলপাড় খান মঞ্জিলের চতুর্থতলায় (ভাড়াবাসা) বোন শান্তা, মা কাজল বেগম ও ভাবীকে (বড় ভাইয়ের বউ) নিয়ে থাকি। শান্তা আমাদের একমাত্র বোন, ও সবার ছোট। আমরা তিন ভাই। দুই ভাই ও আমাদের বাবা আবদুল করিম বিদেশ থাকেন।
তিনি আরও বলেন, সন্ধ্যায় বাসায় ফিরে শান্তা ভেতর থেকে দরজা বন্ধ করে দেয়। এসময় বাসায় ভাবী একা ছিলেন। অনেক সময় দরজা বন্ধ থাকায় ভাবী ডাকাডাকি করেন। কিন্তু তাতে সাড়া-শব্দ না পাওয়ায় তিনি আমাকে খবর দেন। পরে আমিও এসে ডাকাডাকি করেও কোনো সাড়া শব্দ না পেয়ে দরজা ভেঙে গলায় ওড়না পেঁচানো অবস্থায় শান্তাকে দেখতে পাই। তাৎক্ষণিকভাবে তাকে উদ্ধার করে শাজাহানপুর ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালে নিয়ে যাই। সেখান থেকে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক সন্ধ্যা সাতটার দিকে মৃত ঘোষণা করেন। কিন্তু, কী কারণে শান্তা আত্মহত্যা করলো কিছুই বুঝতে পারছি না।
ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক (এসআই) বাচ্চু মিয়া বাংলানিউজকে জানান, ময়না-তদন্তের জন্য মরদেহ ঢামেক হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে। এ বিষয়ে প্রয়োজনী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২০৪৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২০, ২০১৯
এজেডএস/ওএইচ/