সোমবার (২১ জানুয়ারি) কারফ্রি সিটি’স এলায়েন্স বাংলাদেশ, ইন্সটিটিউট অব ওয়েলবিইং ও ওয়ার্ক ফর এ বেটার বাংলাদেশ ট্রাস্টের উদ্যোগে পার্কলেট ডিজাইন প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী ও আলোচনা সভায় বক্তরা এসব কথা বলেন।
জাতীয় প্রেসক্লাবের আয়োজনে ওয়ার্ক ফর এ বেটার বাংলাদেশ ট্রাস্টের পরিচালক গাউস পিয়ারীর সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন- সাউথইস্ট ইউনিভার্সিটির স্থাপত্য বিভাগের চেয়ারম্যান স্থপতি মীর মোবাশ্বের আলী, পাবলিক প্লেস বিশেষজ্ঞ পরিকল্পনাবিদ সোহেল রানা, রাজউকের নগর পরিকল্পনাবিদ সাঈদ রেজাউল হক, বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্লানাসের সাধারণ সম্পাদক ড. আদিল মুহাম্মদ খান।
ডাব্লিউবিবি ট্রাস্টের প্রোগাম ম্যানেজার, মারুফ হোসেন সভার সঞ্চালনায় সভায় মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ইনস্টিটিউট অব ওয়েলবিইংয়ের নির্বাহী পরিচালক দেবরা ইফ্রইমসন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ওয়ার্ক ফর এ বেটার বাংলাদেশ ট্রাস্টের মারুফ হাসান।
গাউস পিয়ারী বলেন, মানুষ যন্ত্র নয়, তার বেঁচে থাকার জন্য বিনোদনের প্রয়োজন আছে। কিন্তু আমরা শহরের মানুষের বিনোদনে প্রাধান্য দিচ্ছি না। ফলে মানুষ ক্রমেই বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ছে। শহরের মানুষের মধ্যে আরো বেশি আন্তরিকতা ও সংযোগ তৈরি করার জন্য গাড়ি কেন্দ্রিক পরিকল্পনা বাদ দিতে হবে। ভবিষ্যত প্রজন্মের স্বার্থে, মানবিক শহর গড়তে আমাদের আরো বেশি স্থান তৈরি করতে হবে।
দেবরা ইফ্রইমসন বলেন, আমরা গাড়ির জন্য পার্কিংয়ের স্থান দিতে গিয়ে বিনোদন ও শিশুদের খেলার জায়গা নষ্ট করছি। শহরে শিশুরা খেলাধুলার জন্য পর্যাপ্ত জায়গা পাচ্ছে না। ফলে শিশুদের সুস্থ মানসিক বিকাশ হচ্ছে না। শিশুদের সামাজিকীকরণ ও বিনোদনের জন্য শহরগুলোতে প্রচুর পরিমাণ পার্কলেট গড়ে তোলা প্রয়োজন।
মীর মোবাশ্বের আলী বলেন, ঢাকা শহর অন্যান্য শহরের তুলনায় এমনিতেই অনেক সুন্দর। এ শহরে পার্কলেট একটি সুন্দর ও মনোরম বিনোদনের জায়গা করে দিতে পারে। কমিউনিটির সবাই ছোট পরিসরে পার্কলেট গড়ে তুলে সুন্দর বিনোদনের পাশাপাশি আমাদের শহরকে আরো সুন্দর করে গড়ে তুলতে পারে। আপনারা সচেতনতা বাড়ানোর কাজ করছেন। এটা বাড়ালে একটা কিছু হবে। তবে এজন্য রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ ও সিটি করপোরেশনকেও দায়িত্ব পালন করতে হবে।
আলোচনা শেষে পার্কলেট ডিজাইন প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করেন অতিথিরা। প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অধিকার করেন সাউথ ইস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থাপত্য বিভাগের শিক্ষাথী মৌকুড়ি মুহিম, দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেন যৌথভাবে বুয়েটের নগর ও আঞ্চলিক পরিকল্পনা বিভাগের প্রত্যয় রায় ও সৃষ্টি রায় চৌধুরী এবং তৃতীয় স্থান অধিকার করেন বুয়েটের নগর ও আঞ্চলিক পরিকল্পনা বিভাগের তৌফিকুর জামান প্রান্ত ও মোহাম্মদ সাকলাইন মোস্তাক।
বাংলাদেশ সময়: ০৩২৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২২, ২০১৯
এইচএমএস/এনটি