জাজিরা প্রান্তের ৩৬ ও ৩৭ নম্বর পিলারের ওপর ধূসর রঙের স্প্যানটি বসানো হবে। আর তাতে দৃশ্যমান হবে সেতুর ৯০০ মিটার।
মঙ্গলবার (২২ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ৯টায় ১৫০ মিটার দৈর্ঘ্য ও তিন হাজার ১৪০ টন ওজনের স্প্যানটি নিয়ে জাজিরার উদ্দেশে রওনা হয়েছে তিন হাজার ৬০০ টন ধারণ ক্ষমতার ক্রেন ‘তিয়ান ই’। পদ্মাসেতুর পিলারের নকশা নিয়ে আর কোনো জটিলতা নেই, তাই কাজ চলছে পুরোদমে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এ প্রকল্পে কর্মরত এক প্রকৌশলী জানান, স্প্যানটি কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ডে পেইন্টিং শেষে বসানোর উপযোগী হয়। নির্দিষ্ট করে বলা মুশকিল, স্প্যানটি জাজিরা নিতে কতো সময় লাগবে। স্প্যানটি জাজিরায় পৌঁছাতে সময় প্রয়োজন পড়ে এক থেকে দুইদিন। জাজিরায় পৌঁছানোর পর দুই-একদিনের মধ্যে ষষ্ঠ স্প্যানটি ৩৬ ও ৩৭ নম্বর পিলারের ওপর বসানোর কাজ শুরু হবে।
সূত্রটি আরো জানায়, মোট পিলার ৪২টি, এর মধ্যে ১৬টির কাজ পুরোপুরি সম্পন্ন হয়েছে। ১৫টি পিলারের কাজ চলছে। মোট ২৬১টি পাইলের মধ্যে ১৯১টি পাইলের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। ১৫টি পাইলের আংশিক কাজ শেষ। এছাড়া ১৭টি স্প্যান প্রস্তুত রয়েছে। প্রস্তুত করা হচ্ছে আরও ১৮টি স্প্যান।
উল্লেখ্য, ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এ সেতুতে ৪২টি পিলারের ওপর বসবে ৪১টি স্প্যান। পদ্মা বহুমুখী সেতুর মূল আকৃতি হবে দোতলা। কংক্রিট ও স্টিল দিয়ে নির্মিত হচ্ছে এ সেতুর কাঠামো। সেতুর ৩৭, ৩৮, ৩৯, ৪০, ৪১ ও ৪২ নম্বর পিলারের ওপর ৫টি স্প্যান বসানোর মাধ্যমে জাজিরা প্রান্তে পৌনে ১ কিলোমিটার কাঠামো দৃশ্যমান হয়েছে। এছাড়া মাওয়া প্রান্তের ৬ ও ৭ নম্বর পিলারের স্প্যান (সুপার স্ট্রাকচার) ‘ওয়ান এফ’ আপাতত সেতুর ৪ ও ৫ নম্বর পিলারের ওপর রাখা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১১২২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২২, ২০১৯
এসআই