ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

পাবনায় দু’পক্ষের সংঘর্ষে যুবক নিহত

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩১৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২২, ২০১৯
পাবনায় দু’পক্ষের সংঘর্ষে যুবক নিহত

পাবনা: পাবনা পৌর এলাকায় সিএনজিচালিত অটোরিকশা স্ট্যান্ডে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে মো. অরিন প্রামাণিক (৩৪) নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন। এতে আহত উভয় পক্ষের অন্তত পাঁচজন আহত হয়েছে।

মঙ্গলবার (২২ জানুয়ারি) দুপুর ২টার দিকে পৌর এলাকায় পৈলানপুরে মহল্লায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। নিহত অরিন ওই এলাকার মৃত হাসান আলী ভুট্টু প্রামাণিকের ছেলে।

তিনি সিএনজি স্ট্যান্ডের মাস্টার ছিলেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, পাবনা পৌর এলাকার পৈলানপুর মোড়ে সিএনজিচালিত অটোরিকশা স্ট্যান্ডের দখল নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে স্থানীয় দুই গ্রুপের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। এরই জের ধরে দুপুরের দিকে দুই গ্রুপের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। এসময় উভয় পক্ষের অন্তত পাঁচজন আহত হয়। সংঘর্ষের একপর্যায়ে অটোরিকশা স্ট্যান্ডের মাস্টার অরিনকে একা পেয়ে কুপিয়ে মারাত্মক জখম করে মামুন গ্রুপের লোকজন। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে নেওয়ার পথে অরিন মারা যায়।

এ ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়লে মুহূর্তের মধ্যে শতাধিক দোকানপাট বন্ধ হয়ে যায়। লোকজন দিগ্বিদিক ছোটাছুটি করে নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যায়। ঘটনার সময় ওই এলাকার ৮ থেকে ১০টি দোকান ভাঙচুর করে উভয় গ্রুপ।

দুই গ্রুপের এক দিকে নেতৃত্বে ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সহকারী প্রচার সম্পাদক শরিফ ও অপরদিকের নেতৃত্বে ছিলেন বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ও যুবলীগ নেতা আব্দুল্লাহ আল মামুন।

জেলা আওয়ামী লীগের সহকারী প্রচার সম্পাদক শরিফ বাংলানিউজকে বলেন, ‘মামুনের লোকজন বিএনপি-জামায়াতের লোকজনকে সঙ্গে নিয়ে পৈলানপুর এলাকায় আমার বাবার নামে প্রতিষ্ঠিত ইয়াকুব আলী স্মৃতি সংঘ ক্লাবে অতর্কিত হামলা চালায়। এসময় আমার লোকজন বাধা দিতে গেলে সংঘর্ষের শুরু হয়। তারা ক্লাবে থাকা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবিসহ আসবাবপত্র ভাঙচুর করে। ’

অপরদিকে এ ঘটনার সঙ্গে নিজের কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই দাবি করে যুবলীগ নেতা আব্দুল্লাহ আল মামুন বাংলানিউজকে বলেন, ‘আমি ঘুম থেকে উঠে যেটুকু শুনেছি সেটা হলো- পৈলানপুর মাঠপাড়া এলাকার স্থানীয় লোকজনের কাছ থেকে চাঁদা তোলাকে কেন্দ্র করে এ সংঘর্ষের ঘটানা ঘটেছে। এ ঘটনার সঙ্গে আমার বা আমার লোকজনের কোনো সম্পৃক্ততা নেই। ’

পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ওবাইদুল হক দুই পক্ষের সংঘর্ষের বিষয়টি নিশ্চিত করে বাংলানিউজকে বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।  

স্থানীয়দের কাছ থেকে চাঁদা তোলাকে কেন্দ্র করে বিবদমান দু'গ্রুপের আধিপত্য বিস্তার নিয়ে এ সংঘর্ষে ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত হওয়া গেছে।

তবে এখন পর্যন্ত থানায় লিখিতভাবে কোনো পক্ষই অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পাওয়ার পর প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ রামেক হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে বলেও জানান পুলিশের এ কর্মকর্তা।

বাংলাদেশ সময়: ১৮১৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২২, ২০১৯
জিপি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।