গুলিবিদ্ধ ১০ জনকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় ওই এলাকায় থমথমেভাব বিরাজ করছে।
মঙ্গলবার (২২ জানুয়ারি) বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত শিপন ও জহির মেম্বরের সমর্থকদের মধ্যে দফায় দফায় স্থানীয় খলিফারহাট বাজারে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা আরো জানায়, দলীয় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সদর উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা মিজানুর রহমান শিপন ও যুবলীগ নেতা জহির মেম্বর গ্রুপের মধ্যে দীর্ঘদিন বিরোধ চলে আসছিল।
নির্বাচনের আগে গত ১১ ডিসেম্বর যুবলীগ নেতা জহির মেম্বর গুলিবিদ্ধ হয়। এ ঘটনার মামলায় সোমবার আওয়ামী লীগ নেতা শিপন সমর্থিত তিন আসামির জামিন নামঞ্জুর করে তাদের জেলহাজতে পাঠান আদালত।
এ ঘটনায় ক্ষিপ্ত হয়ে শিপন সমর্থিত নেতাকর্মীরা খলিফারহাটে জহির মেম্বরের বাড়িতে হামলা চালায়। একপর্যায়ে দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও পরে সংঘর্ষ শুরু হয়। এসময় শিশু ও স্থানীয় বাজারের ব্যবসায়ীসহ ১০ জন গুলিবিদ্ধ ও আহত হয় অন্তত আরো ১০ জন।
গুলিবিদ্ধরা হলেন- সোলাইমান (২৮), সুমন (২৩), জসিম (৪৫), অহিদ উল্লা (৩৫), সবুজ (২৩), মাসুদ (৩৫), মনির আহমদ (৫৫), সবুজ (২৩), জাকের (৩০), শিশু শান্ত (১২)। এদের উদ্ধার করে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
সুধারাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আনোয়ার হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করে বাংলানিউজকে জানান, শিপন ও জহির মেম্বরের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। মঙ্গলবার বিকেলে দু’গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ ও গুলি বিনিময় হয়। পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
বাংলাদেশ সময়: ২০৫২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২২, ২০১৯
আরএ