মঙ্গলবার (২২ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ স্টাডি ট্রাস্ট আয়োজিত ‘বাংলাদেশ-ভারত-নেপাল-ভুটান আঞ্চলিক সহযোগিতা, সম্ভাবনা ও বাস্তবতা’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী একথা জানান।
এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, আমরা চাই বাংলাদেশকে সোনার বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তুলতে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, শীতের সময় আমাদের যথেষ্ট এনার্জি পাওয়ার থাকে যা আমরা পাশ্ববর্তী দেশগুলোকে দিতে পারি। আবার অন্য সময় প্রযোজন অনুযায়ী আমরা তাদের কাছ থেকে এনার্জি নিতে পারি। এছাড়া দেশের ডিজিটাল উন্নয়নের জন্যও আমরা তাদের কাছ থেকে সহযোগিতা গ্রহণ করতে পারি। একইসাথে ট্যুরিজমে গিভ অ্যান্ড টেক পদ্ধতি ব্যবহার করে আরো উন্নয়ন সম্ভব। শিক্ষাক্ষেত্রেও প্রতিবেশী এ দেশগুলোর ডিগ্রি অন্যদেশে গ্রহণযোগ্য। আর বাংলাদেশ এক্ষেত্রে অনন্য। তার বড় উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, ভুটানের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী আমাদের ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ থেকে পাস করা শিক্ষার্থী।
আয়োজনে চার দেশের আন্তঃসম্পর্ক স্থাপনে পররাষ্ট মন্ত্রণালয়ের বিশেষ ভূমিকা পালন করা উচিত এবং এ যাত্রা যেনো আরো ত্বরান্বিত হয়, তার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করার কথাও জানান মন্ত্রী।
এর আগে সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সার্কের সাবেক পরিচালক আব্দুল হান্নান। তিনি তার প্রবন্ধে বলেন, সার্ক বা সার্কের মতো আন্তঃসম্পর্ক অর্থনৈতিক সহযোগিতার জন্য। কিন্তু বর্তমানে সেসব বিনিয়োগ হতাশাজনক। এমন নেতিবাচক সময়ে বিবেচনা পূর্বক ৪টি দেশ নিয়ে একটি আঞ্চলিক সম্ভাবনা সহযোগিতা বলয় গড়ে উঠতে পারে।
এছাড়া ৪ দেশের মধ্যে অর্থনৈতিক, ব্যবসা-বাণিজ্য এবং স্থল ও আকাশ পথে যোগাযোগের সাথে সাথে নৌপথে যোগাযোগ ব্যবস্থা স্থাপনের কথা বলেন বিজিএমইএ-এর সাবেক সভাপতি আতিকুল ইসলাম।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ স্টাডি ট্রাস্টের সাধারণ সম্পাদক ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজের লিভার বিভাগের বিভাগীয় প্রধান মামুন আল মাহতাব স্বপ্নিলের সভাপতিত্বে আরো উপস্থিত ছিলেন সোসাইটি ফর ইন্ডিয়ার জেনারেল সেক্রেটারি অধ্যাপক বালাদাস ঘোষাল, সাবেক রাষ্টদূত একেএম আতিকুর রহমান, সম্প্রীতি বাংলাদেশের আহবায়ক ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব পীযূষ বন্দোপাধ্যায়সহ বিশিষ্টজনেরা।
বাংলাদেশ সময়: ২১৪৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২২, ২০১৯
এইচএমএস/এমজেএফ