মঙ্গলবার (২২ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় স্থানীয় মধুমঞ্চে এ মেলার উদ্বোধন করা হয়। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বপন কুমার ভট্টাচার্য বলেন, বাংলা সাহিত্যে আধুনিকতার পথ প্রদর্শক মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্ত। তিনি ছিলেন অসাম্প্রদায়িক চেতনার মহাকবি। মধুসূদন দত্ত উপলব্দি করেছিলেন মাতৃভাষা ছাড়া প্রতিভা বিকাশ সম্ভব নয়। তাই তিনি দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে মাতৃভাষায় সাহিত্য চর্চা শুরু করেন। সেই থেকে শুরু হয় বাংলা সাহিত্যের জাগরণ।
খুলনার অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার নিশ্চিন্ত কুমার পোদ্দারের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, ইসমাত আরা সাদেক এমপি, মো. নাসির উদ্দীন এমপি, যশোরের জেলা প্রশাসক আব্দুল আওয়াল, যশোরের পুলিশ সুপার মঈনুল হক বিপিএম, পিপিএম, কেশবপুর উপজেলা চেয়ারম্যান এইচ এম আমির হোসেন, কেশবপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এস এম রুহুল আমীন, কেশবপুর পৌরসভার মেয়র রফিকুল ইসলাম মোড়ল।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন কেশবপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মিজানূর রহমান।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন সহ সভাপতি তপন কুমার ঘোষ মন্টু, মুক্তিযোদ্ধা কাজী রফিকুল ইসলাম, যশোরের পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট রফিকুল ইসলাম পিটু, সাগরদাঁড়ি ইউপি চেয়ারম্যান কাজী মোস্তাফিজুল ইসলাম মুক্ত, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের প্রাক্তন নেতা দেবাশীষ আইচ প্রমুখ ।
২৫ জানুয়ারি মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্তের জন্মদিন হলেও আসন্ন এসএসসি পরীক্ষার কারণে তিনদিন আগে থেকেই মঙ্গলবার (২২ জানুয়ারি) মেলা শুরু হয়েছে, চলবে ২৭ জানুয়ারি পর্যন্ত।
সাগরদাঁড়ীর মধু মঞ্চে এবারের মেলায় সার্কাস, মৃত্যুকুপ, নাগরদোলা ছাড়াও কুঠির শিল্প ও গ্রামীন পসরার প্রায় ৫শ’ স্টল বসেছে।
আলোচনা সবার আগে প্রতিমন্ত্রীসহ অতিথিরা ফিতা কেটে, বেলুন ও কবুতর উড়িয়ে সপ্তাহব্যাপী মধুমেলার উদ্বোধন করেন। দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সবচেয়ে এই মেলায় গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী কারুশিল্প, কৃষি ও লোকজ সামগ্রীর সমাহারসহ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে। কবির জন্মজয়ন্তী ও মধুমেলা উপলক্ষ্যে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের পৃষ্ঠপোষকতায় জেলা প্রশাসনের আয়োজনে মধুমেলায় উন্মুক্ত মঞ্চে প্রতিদিন মহাকবির জীবনীর উপর আলোচনা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের পাশাপাশি সার্কাস, ইঞ্জিন ট্রেন, মৃত্যুকুপ ও বিসিকের স্টল বসেছে। প্রতিদিন কবির সৃষ্টি, সাহিত্য ও জীবনীর উপর বিষয় ভিত্তিক আলোচনায় অংশ গ্রহণ করবেন দেশের বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও কবি সাহিত্যিকগণ। এ ছাড়া প্রতিদিন সন্ধ্যায় মধু মঞ্চে দেশের বরেণ্য খ্যাতিমান শিল্পীরা সংগীত পরিবেশন করবেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথিকে মধুসূদন সংস্কৃতি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয় বাস্তবায়ন কমিটি স্মারকলিপি দেয়।
সপ্তাহব্যাপী মধুমেলায় কৃষি, কুটিরশিল্প ও গ্রামীণ তৈজসপত্রসহ নানা পণ্যের পসরা নিয়ে হাজারো দোকান বসেছে। পাশাপাশি প্রতিদিন মধুমঞ্চে আলোচনার পাশাপাশি নাটক, কবিতা আবৃত্তিসহ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান থাকবে।
বাংলাদেশ সময়: ০৩৩৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৩, ২০১৯
ইউজি/এএটি