বুধবার (২৩ জানুয়ারি) বেলা ১১টার দিকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। পরে দুপুরে ময়নাতদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।
মহানগরের মতিহার থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সিদ্দিক হোসেন বাংলানিউজকে জানান, সকাল সাড়ে ৯টার দিকে কেউ একজন ৯৯৯-এ ফোন করে বাড়ির মধ্যে মরদেহ ঝুলছে বলে জানান। পরে বিষয়টি মতিহার থানায় জানানো হয়। এ সময় তিনি ফোর্স নিয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে যান।
পরে কাজলা নদীর বাঁধ এলাকার ওই বাড়ি গিয়ে সেখান থেকে গৃহবধূ সিতারা বেগমের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেন। কিন্তু ঘটনার পর থেকে তার স্বামী সেন্টু মিয়াকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।
জানতে চাইলে এসআই সিদ্দিক হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, সিতারা বেগম সেন্টুর দ্বিতীয় স্ত্রী ছিলেন। সেন্টু পেশায় একজন দর্জি দোকানি। বিভিন্ন আলামত দেখার পর প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, এটি আত্মহত্যা। তবে বিষয়টি পুরোপুরি নিশ্চিত হওয়া যাচ্ছে না। তাই মরদেহটি উদ্ধারের পর ময়নাতদন্তের জন্য দুপুরে রামেক হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
মহানগরের মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহাদাত হোসেন খান বলেন, ঝুলন্ত অবস্থায় গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। কিন্তু তার স্বামী পলাতক থাকায় ঘটনাটির নিয়ে ধোঁয়াশা কাটছে না। তাই ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন হাতে পাওয়ার পর পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আপাতত এ ঘটনায় অপমৃত্যুর মামলা হবে বলেও জানান পুলিশের এ কর্মকর্তা।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৫৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৩, ২০১৯
এসএস/ওএইচ/