বুধবার (২৩ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে শহরের জিলা স্কুল মোড়ে এ ঘটনার সূত্রপাত।
আহতদের ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম কলেজের কম্পিউটার বিভাগের অধ্যাপক দেলোয়ার হোসেন মুকুল বাংলানিউজকে বলেন, জিলা স্কুল মোড়ে কলেজটির ইংরেজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক শেখ শরীফুল আলমকে একটি অটোরিকশা ধাক্কা দেয়ে। এসময় অটোরিকশা চালক ও শরীফুলের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এরপর এক ট্রাফিক পুলিশ সদস্য এগিয়ে এসে শরীফুলের সঙ্গে বাগবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন। একপর্যায়ে ওই ট্রাফিক পুলিশ শরীফুলকে মারধর করেন। পরে শহরের ২ নম্বর ফাঁড়ির পুলিশ সদস্যরা তাকে আটক করে নিয়ে যান।
তিনি আরও বলেন, শরীফুলকে আটক করা হয়েছে খবর পেয়ে আমরা ১০ থেকে ১২ জন শিক্ষক তাকে ফাঁড়ি থেকে ছাড়িয়ে নিয়ে আসি। কিন্তু শিক্ষার্থীদের মধ্যে খবরটি ছড়িয়ে পড়লে তারা প্রতিবাদে থানায় চলে যায়। সেখানে পুলিশের সঙ্গে তাদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এসময় পুলিশের রাবার বুলেট ও টিয়ারশেল নিক্ষেপে কমপক্ষে নয় শিক্ষার্থী আহত হয়।
পুলিশ সুপার শাহ আবিদ হোসেন এ বিষয়ে জানিয়েছেন, ঘটনাটির পর গুজব ছড়িয়ে পড়ে। তাই ওই শিক্ষককে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। কিন্তু প্রায় শতাধিক শিক্ষার্থী থানায় গিয়ে ভাঙচুর করে। তখন পুলিশও আত্মরক্ষার্থে রাবার বুলেট ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে।
তিনি আরও জানান, যে শিক্ষকের সঙ্গে ঘটনা ঘটেছে, তার সঙ্গে আমরা কথা বলবো। তদন্ত কমিটি করবো।
এদিকে, শিক্ষককে মারধরের মতো ন্যাক্কারজনক ঘটনার বিষয়ে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে কর্মকর্তারা জরুরি বৈঠকে বসেছেন। সেখানে সভাপতিত্ব করছেন জেলা প্রশাসক ড. সুভাষ চন্দ্র বিশ্বাস।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৩, ২০১৮
এমএএএম/টিএ