ঢাকা, বুধবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

অনলাইন নিরাপত্তার সচেতনতা নিয়ে নিরাপদ ইন্টারনেট দিবস

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১১২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৬, ২০১৯
অনলাইন নিরাপত্তার সচেতনতা নিয়ে নিরাপদ ইন্টারনেট দিবস ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা: শিক্ষার্থী ও অভিভাবকের সচেতনতা ও সংবেদনশীলতা বাড়াতে নিরাপদ ইন্টারনেট দিবস পালন করেছে গ্রামীণফোন, ইউনিসেফ ও ইন্টারন্যাশনাল স্কুল ঢাকা (আইএসডি)। আয়োজনে ইন্টারনেট জগতে নিরাপত্তাবিষয়ক নানা পদক্ষেপ তুলে ধরা হয়।

মঙ্গলবার (৫ ফেব্রুয়ারি) গ্রামীণফোনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আইএসডিতে গ্রেড ৫ থেকে ১০ পর্যন্ত আড়াই’শ শিক্ষার্থীকে নিয়ে নিরাপদ ইন্টারনেট দিবস পালন করা হয়। শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণমূলক গেমের মাধ্যমে অনলাইন নিরাপত্তা নিয়ে বোঝানো হয়।

যেখানে তারা অনলাইনে নিরাপদ বিচরণের ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় জ্ঞান ও দক্ষতা সম্পর্কে জানতে পারে।

আয়োজনে গ্রামীণফোনের ডেপুটি সিইও ও সিএমও ইয়াসির আজমান বলেন, 'বর্তমানে ইন্টারনেটের যুগে আমাদের শিশুরা খুবই অল্প বয়স থেকে ইন্টারনেট ব্যবহার করছে। তথ্য পাওয়ার ক্ষেত্রে এবং শিক্ষায় ইন্টারনেট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলেও শিক্ষা এবং জ্ঞান পৌঁছে দেওয়ার ক্ষেত্রে ইন্টারনেট একমাত্র শক্তিশালী মাধ্যম। এ জন্য অভিভাবক, শিক্ষকসহ এই ইকোসিস্টেম সংশ্লিষ্ট সবার জন্য প্রধান ও প্রথম ভাবনার বিষয় হওয়া উচিত নিরাপদ ইন্টারনেট নিশ্চিত করা। '

ইউনিসেফের চিফ অব চাইল্ড প্রোটেকশন জিন জেবি বলেন, ইন্টারনেট ব্যবহারকারী বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সাইবার বুলিংসহ অনলাইনে সহিংসতাও বাড়ছে। শিশুরা তাদের বাড়িতে, স্কুলে এবং নিজেদের কমিউনিটিতে যে সহিংসতার শিকার হয়, তা ডিজিটাল বিশ্বেও চলে আসছে। তবে সুসংবাদ হচ্ছে, আইন তৈরি করে ও হেল্পলাইন তৈরির মাধ্যমে বুলিং, সাইবার বুলিংসহ অনলাইনে সহিংসতা বন্ধ করতে পারি।

আইএসডি সেকেন্ডারি স্কুল প্রিন্সিপাল ইলদিকো মুরে বলেন, শেখার জন্য ইন্টারনেট গুরুত্বপূর্ণ হাতিয়ার। শেখার ব্যাপারে এবং দায়িত্বশীল আচরণ করার জন্য আমরা সব সময়ই আমাদের শিক্ষার্থীদের উৎসাহিত করে আসছি।

ডিজিটাল পরিবেশে শিশুদের জন্য নিরাপদ অনলাইন অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করতে গ্রামীণফোনের ফ্ল্যাগশিপ উদ্যোগ ‘চাইল্ড অনলাইন সেফটি প্রোগ্রাম’। ২০১৪ সাল থেকে গ্রামীণফোন নিরাপদ ইন্টারনেট-বিষয়ক নানা কর্মসূচি পালন করে আসছে। প্রতিষ্ঠানটি ২০১৮ সালে ইউনিসেফের সঙ্গে অংশীদারির ভিত্তিতে নিরাপদ ইন্টারনেট বিষয়ে কাজ শুরু করেছে।

বাংলাদেশ সময়: ০৬১০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৬, ২০১৯
এইচএমএস/এমকেএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।