বুধবার (০৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ওই ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. হাফিজুর রহমান আসামির অনুপস্থিতিতে এ রায় দেন। এসময় দণ্ডপ্রাপ্ত আসামির আপন দুই ভাই রানা ও রাজুকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়।
দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি মো. রিয়াজ বরগুনা সদর উপজেলার ছোট গৌরীচন্না মীর মহল গ্রামের সুলতান জোমাদ্দার মজিবরের ছেলে।
আদালত সূত্রে জানা যায়, মাছের ব্যবসা করার জন্য ২০১৬ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর সকালে স্ত্রী মাকিয়া আকতার বিথির কাছে রিয়াজ ও তার দুই ভাই এক লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন। বিথি টাকা দিতে অস্বীকার করলে তার ওপর অমানুষিক নির্যাতন করা হয়। গুরুতর আহতাবস্থায় বিথিকে উদ্ধার করে তার মা নাছিমা বেগম বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন। এরপর ১৯ সেপ্টেম্বর বিথি বাদী হয়ে স্বামী রিয়াজসহ তিনজনের বিরুদ্ধে বরগুনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা করেন। মামলায় বাদী পক্ষের ৯ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে বিচারক এ রায় দেন।
রায় ঘোষণার পর বিথি বাংলানিউজকে বলেন, ওই তিন আসামি আমাকে নির্যাতন করেছে। অন্য দুইজন সাজা পেলে ন্যায় বিচার পেতাম।
খালাস পাওয়া আসামি রাজু বাংলানিউজকে বলেন, অল্পদিনের মধ্যে রিয়াজকে আদালতে হাজির করিয়ে উচ্চ আদালতে আপিল করবো।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৬, ২০১৯
এনটি