নেদারল্যান্ডসের হেগে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে (আইসিসি) অনুষ্ঠিত এক সেমিনারে আলোচক হিসাবে তিনি এসব কথা বলেন।
বৃহস্পতিবার (৭ ফেব্রুয়ারি) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক বার্তায় এ তথ্য জানানো হয়।
কানাডা ও সুইজারল্যান্ড দূতাবাসের সহযোগিতায় আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) গত ৫ ফেব্রুয়ারি ‘ইন্টারন্যাশন্যাল জেন্ডার চ্যাম্পিয়নস ডেন হেগ হাব’ -শীর্ষক উদ্বোধনকালে এ সেমিনারের আয়োজন করা হয়। জেন্ডার চ্যাম্পিয়ন হল এমন একটি উদ্যোগ যেখানে নারীর ক্ষমতায়নের লক্ষ্যে ব্যক্তি কর্তৃক সুনির্দিষ্ট প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়। এছাড়া কর্মক্ষেত্রের সব স্তরে লিঙ্গ সমতা বিষয়টিকে প্রাধান্য দেওয়া হয়।
নারীর ক্ষমতায়নকে বাংলাদেশের জন্য একটি বড় ধরনের সামাজিক পরিবর্তন হিসেবে অভিহিত করে রাষ্ট্রদূত বেলাল পরিবর্তনের প্রেক্ষাপট তুলে ধরেন। বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রার প্রেক্ষাপট উল্লেখ করে তিনি বলেন, কতিপয় অভিনব উদ্যোগ বিশেষ করে ক্ষুদ্রঋণ এবং তৈরি পোশাক শিল্পে নারীদের নিয়োগের মাধ্যমে নারীরা তাদের সীমাবদ্ধ গন্ডি অতিক্রম করে উৎপাদনমুখী কর্মকাণ্ডে নিজেদের সম্পৃক্ত করেছে। সরকারের নীতি সহায়তার বদৌলতে বাংলাদেশের লাখ লাখ নারী তাদের শত বাধা-বিপত্তি অতিক্রম করেছে যা অন্যান্য দেশে তাদের সহকর্মীরা এখনো বয়ে বেড়াচ্ছে।
আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের প্রেসিডেন্ট বিচারপতি চিলি ইবোয়ি ওসুজি সেমিনারের সূচনা করেন। এতে আইসিসির প্রসিকিউটর ফাতো বেনসৌডা, ওমেন দ্যা টেবিলের নির্বাহী পরিচালক ক্যাটলিন ক্রাফট প্রমুখ উপিস্থত ছিলেন।
অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনায় ছিলেন নেদারল্যান্ডসে নিযুক্ত সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত হেইনজ ওয়াকার নেদেরক্রুন।
বাংলাদেশ সময়: ১৯২১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৭, ২০১৯
টিআর/এসএইচ