বাঁধ অপসারণের দাবিতে বৃহস্পতিবার (০৭ ফেব্রুয়ারি) উপজেলা সদরে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন তারা। বিক্ষোভ মিছিল শেষে উপজেলা প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠকেও বসেন তারা।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়নে চলতি মৌসুমে মোট ৯ হাজার ৬শ’ ৬৩ হেক্টর জমি ইরি-বোরো চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। কৃষি বিভাগ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে ৪৩ হাজার ৩শ’ ১৩ মে.টন চাল।
চাষিরা জানান, বরিশাল সড়ক বিভাগের আওতায় উপজেলা সদরে সড়কের উন্নয়ন কাজ ও ব্রিজ নির্মাণ কাজের জন্য উপজেলা সদর, কান্দিরপাড়, গৈলা খালের মুখে তিনটি বাঁধ দেয়ার কারণে চাষিরা ইরি ব্লকে পানি সেচ দিতে না পারায় ধানের চারা রোপণ করতে পারছেন না।
উপজেলার প্রধান খালে বাঁধ দেওয়ায় ওই খালসহ শাখা খালগুলো শুকিয়ে যাওয়ায় ইরি ব্লকের মেশিনগুলো পর্যায়ক্রমে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। অথচ সেচ কাজের জন্য পৌষ মাস থেকে চৈত্র মাস পর্যন্ত চাষিদের মেশিন চালানোর প্রয়োজনীতা রয়েছে। সামান্য পানি পেয়ে যারা জমিতে ধানের বীজ রোপণ করেছেন পর্যাপ্ত পানি না পাওয়ায় তাদের সেইসব জমির বীজ ধানের চারা শুকিয়ে মারা যাচ্ছে।
বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলার পশ্চিম সুজনকাঠী, বটতলা, রাহুতপাড়া, অশোকসেন, তালতা, চান্দেরবাজার, কালুপাড়া, ভদ্রপাড়া, বড়ইতলা, সানুহার, ঐচারমাঠ ও রামের বাজারসহ বিভিন্ন গ্রামের কয়েকশো কৃষক পানির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অফিসের সামনে অবস্থান নেন।
এ সময় উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. নাসির উদ্দিন কৃষকদের বাঁধ অপসারণের আশ্বাস দেন। পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিপুল চন্দ্র দাসের কক্ষে কৃষক, বরিশাল সওজ কর্মকর্তা ও ইউপি চেয়ারম্যানদের বৈঠক হয়। চাষিদের বক্তব্য শুনে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন।
বাংলাদেশ সময়: ২০৪৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৭, ২০১৯
এমএস/এমজেএফ