শনিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১টার দিকে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের তোফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে ইনস্টিটিউট অব ওয়েববিইং বাংলাদেশ আয়োজিত ‘সমাজে বৈচিত্র্যতার গুরুত্ব: বর্তমান ও ভবিষ্যৎ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
সুলতানা কামাল বলেছেন, বৈষম্য অবহেলা বঞ্চনার অবসান করতে হবে, যদি আমরা মানবিকতার কথা বলি।
তিনি বলেন, আমাদেরকে সচেতনতার জায়গায় পৌঁছাতে হবে। এটা বিবেকের প্রশ্ন, মানবিকতার প্রশ্ন। বিবেকের যে দায়বদ্ধতা রয়েছে, তা মানসিকতার পরিবর্তন প্রয়োজন, আমরা বিভিন্ন লিঙ্গের কথা বলি, এখানেই বৈষম্য করি।
সুলতানা কামাল বলেন, আমরা যারা মানবিক চিন্তা করি, একুশে ফেব্রুয়ারি ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনাই হচ্ছে মানবিক সমাজ, বৈষম্যের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়া। সেই চেতনায় বৈষম্য আশা করা যায় না। বৈষম্যহীন সমাজের কথা বলেছে সংবিধান। সমাজে পিছিয়ে পড়া মানুষ আছে, রাষ্ট্রের কাছে সবাইকে সমান চোখে নিয়ে আসতে হবে। মানসিকতার পরিবর্তন আনতে হবে।
তিনি বলেন, কাঠামোগত পরিবর্তন প্রয়োজন। পাবলিক ভবনে প্রতিবন্ধীদের জন্য টয়লেটসহ সবকিছু তাদের উপযোগী করে তুলতে হবে।
ডব্লিউবিবি ট্রাস্টের পরিচালক গাউস পিয়ারীর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন ইনস্টিটিউট অব ওয়েবিইং এর ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী পরিচালক দেবরা ইফরইমসন, দলিত নারী বাংলাদেশের সভাপতি মণি রানী দাস, সচেতন সমাজ সেবা হিজড়া সংঘের প্রেসিডেন্ট ইভান আহমেদ কথা প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৪৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৯,২০১৯
টিএম/এএটি