ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

ভালোবাসা দিবসে দিনাজপুরে ফুল বিক্রি হবে ১০ লাখ টাকার!

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১২৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১০, ২০১৯
ভালোবাসা দিবসে দিনাজপুরে ফুল বিক্রি হবে ১০ লাখ টাকার! সাজিয়ে রাখা রং-বেরঙের ফুল। ছবি: বাংলানিউজ

দিনাজপুর: আসছে ১৪ ফেব্রুয়ারি (বৃহস্পতিবার) বিশ্ব ভালোবাসা দিবস বা ভ্যালেন্টাইনস ডে। দিবসটিতে প্রিয়জনের হাতে ফুল দিয়ে ভালোবাসা না জানালে কি হয়? কেননা, দিনটি যে হৃদয়ের সঙ্গে হৃদয়ের মেলবন্ধনের দিন। 

দিবসটিতে ১০ লাখ টাকার ফুল বিক্রির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছেন দিনাজপুর শহরের ফুল ব্যবসায়ীরা। এরই মধ্যে ফুল বিক্রির রেকর্ড সৃষ্টি করতে অগ্রিম ফুল আনতে শুরুও করেছেন তারা।

 

দিনাজপুর শহরের মর্ডান মোড়, গণেশতলা, জেল রোড, লিলিমোড়ে ঘুরে দেখা গেছে, শহরের স্থায়ী দোকানগুলোতে বিভিন্ন স্থান থেকে ফুল এনে সাজিয়ে রাখছেন ভালোবাসা দিবসে বিক্রির জন্য। দিবসটি উপলক্ষে স্থায়ী দোকান ছাড়াও মৌসুমী ফুল বিক্রেতারা বসেছেন রাস্তার ধারে ফুল নিয়ে। দিনাজপুর শহরে ছোট-বড় মিলে প্রায় ২৫টি দোকানে ১০ লাখ টাকার ফুল বিক্রির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছেন ফুল ব্যবসায়ীরা। দিনাজপুরের স্থায়ী ব্যবসায়ীরা সাধারণত যশোর থেকে ফুল আনলেও মৌসুমী ব্যবসায়ীরা স্থানীয় সদর উপজেলার সুখসাগর, বাগেরহাট ব্র্যাকের নার্সারি ও বিরল উপজেলার কাজীপাড়া থেকে ফুল এনে বিক্রি করেন।  

দিনাজপুর শহরের সবচেয়ে বড় ফুলের দোকান গণেশতলার মাধবী গ্রিটিংস কর্নারের মালিক বেলাল হোসেন বাংলানিউজকে জানান, তিনি প্রায় ১৫ বছর ধরে ফুল ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। তার দোকানে বর্তমান স্টাফের সংখ্যা ১৩ জন। তিনি যশোর থেকে পাইকারি ফুল এনে দিনাজপুরে বিক্রি করেন। বর্তমানে গোলাপফুল, গাঁদা, রজনীগন্ধাসহ বিভিন্ন ধরনের ফুল রয়েছে তার দোকানে। ভালোবাসা দিবস উপলক্ষে চার লাখ টাকার ফুল বিক্রির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছেন বলেও জানান তিনি।

জেল রোডের শুভ ফুল বিতানের সত্ত্বাধিকারী সুভাষ চন্দ্র রায় বাংলানিউজকে জানান, তিনি এবছর প্রায় এক লাখ টাকার ফুল বিক্রির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছেন। যশোরের পাইকারি ফুল আনতে অনেক বেশি দাম দিতে হচ্ছে। সেখানে ফুলের দাম বেশি হওয়ায় এ বছর ফুলের দাম বেশি।

মৌসুমী ফুল ব্যবসায়ীরা বাংলানিউজকে জানান, তারা দিনাজপুর জেলার বিভিন্ন জায়গা থেকে ফুল নিয়ে এসে বিক্রি করেন। মৌসুম অনুযায়ী ফুল বিক্রি করে তাদের লাভ হয়। বিভিন্ন দিবসের দুই/তিনদিন আগে থেকে তারা শহরের বিভিন্ন রাস্তার ধারে টেবিল-চেয়ার বসিয়ে ফুল বিক্রি করেন।  

ফুল কিনতে আসা ক্রেতা রফিকুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, এবছর ফুলের দাম অনেক বেশি। প্রতি পিস গোলাপ ২০ টাকার নিচে বিক্রি করছে না। দাম বেশি হলেও কি করব, নিতে তো হবেই।

বাংলাদেশ সময়: ১৬২২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১০, ২০১৯
এসআরএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।